রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নন্দারাম নামক স্থানে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রচুর বৃষ্টিপাতে পাহাড় ধসে বাঘাইহাট-সাজেক সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর মেলেনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএরও) রুমনা আক্তার জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক পরিষ্কারের জন্য ২০-ইসিবি কাজ শুরু করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীঘিনালা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ধসের কারণে দু’পাশে আটকা পড়েছে পর্যটকবাহী শত শত গাড়ি। সাজেক থেকে ফেরার পথের পর্যটকদের গাড়িগুলো নিরাপত্তা বাহিনী নিরাপদে মাচালং এলাকায় সরিয়ে নিয়েছে। আর সাজেকগামী পর্যটকদের গাড়িগুলো আটকে রাখা হচ্ছে বাঘাইহাট এলাকায়।
অবশ্য সকাল থেকেই সড়ক থেকে ধসে পড়া পাহাড়ের মাটি অপসারণে কাজ করছে সেনাবাহিনী।
বাঘাইহাট সেনা জোনের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনতাসির মামুন চৌধুরী পিএসসি জানান, সকাল ৯টা থেকে সেনাবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে। পর্যটকরা যেন তাদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেন তার জন্য করা করা হচ্ছে। আরো কিছু সময় লাগবে কাজ সারতে। আশা করছি দ্রুতই রাস্তাটি চলাচলের উপযোগী হবে।
সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেব বর্মন বলেন, ‘আমরা সকালে বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমাদের সাজেক এলাকায় প্রায় ছোট-বড় মিলে ২০০ গাড়ি রয়েছে, যা গতকাল এসেছিলো। আজ সকালে অনেকের চলে যাওয়ারও কথা ছিল, কিন্তু গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় এখন সবাই আটকে আছেন। আমাদের এখানে ১১২টি কটেজ রয়েছে। সবমিলে প্রায় চার হাজার পর্যটক থাকতে পারেন।’
ইউএনও রুমনা আক্তার জানান, সাজেক এলাকায় প্রায় দুই হাজার ও প্রবেশের জন্য আরও প্রায় তিন হাজার পর্যটক রয়েছেন। পাহাড় ধসের ঘটনায় তারা আটকে পড়েছেন। সড়ক পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। দুপুরের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
জেএন/এও