ছেলের অপরাধে সহযোগিতার অভিযোগে মো. মোদাসসির নামের এব যুবকের সঙ্গে তার মা-বাবাকে আটক করেছে র্যাব। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) নগরের পতেঙ্গার নাজিরপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের দাবি, হাটহাজারীতে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে অপহরণে মো. মোদাসসিরকে তার বাবা রেজাউল করিম (৫০) ও তার মা সাবিহা সুলতানা (৪৫) অপহরণে সহযোগিতা করেন। তাই তাদেরও আটক করা হয়েছে। তাদের বাড়ি বাশঁখালীর চনুয়া এলাকায়।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, অপহৃত ভিকটিম স্থানীয় একটি মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। আসামি মো. মোদাসসির বিভিন্ন সময়ে তাকে মাদরাসায় আসা যাওয়ার পথে প্রেমের প্রস্তাব দিত। বিরক্ত করত। গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় ওই ছাত্রী ঘর থেকে বের হয়ে উঠানে পায়চারি করার সময় মোদাসসির দুই-তিন জনের সহযোগিতায় কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যান। পরে এ ঘটনায় ভিকটিমের মা মোদাসসির এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করে হাটহাজারী মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন এবং র্যাবকে অবহিত করেন।
তিনি আরও বলেন, পরে র্যাব অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেফতারে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার নগরের পতেঙ্গার নাজিরপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে মো. মোদাসসিরসহ তিন জনকে গ্রেফতার করে। এসময় অপহৃত ভিকটিম কিশোরীকেও উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোদাসসির এবং তার মা ও বাবা স্বীকার করে তারা গত ১৯ সেপ্টেম্বর ভিকটিমকে অপহরণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া এবং পরবর্তীতে চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করেছিল। জিজ্ঞাসাবাদে তারা আরও জানায়, গত০৩ অক্টোবর তারা কক্সবাজার হতে বাস যোগে এসে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা থানাধীন নাজিরপাড়া এলাকায় একটি বাসায় আত্মগোপন করেছিল। ৪ অক্টোবর ওই বাসা হতে অপহৃত ভিকটিমকে নিয়ে গাজীপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা করার পরিকল্পনা করছিল।
জেএন/এফও/এও