সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে মিতু হত্যা মামলায় পিবিআই-এর দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন আদালত। অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে বাবুলের আইনজীবীদের দেওয়া নারাজি ও পুনঃতদন্ত আবেদন খারিজ করলেও তাকে কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার চট্টগ্রামের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আবদুল হালিমের আদালতে শুনানি শেষে অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেছেন।
সিএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুল হাসান জয় নিউজকে বলেন, পিবিআই-য়ের অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছে আদালত। এছাড়া আসামিপক্ষে নারাজি এবং পুনঃতদন্তের আবেদন করা হলেও শুনানি শেষে তা খারিজ দেয়।
বাবুল আক্তারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শিশির মুনির জানান, সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের মামলার শুনানিতে সাক্ষীর নারাজি দরখাস্তের সময় নামঞ্জুর করা হয়েছে। দ্বিতীয় মামলায় সংগৃহীত সাক্ষ্য-প্রমাণ প্রথম মামলায় ব্যবহার করা বেআইনি-আমাদের এই দরখাস্তের বিষয়ে পড়াশুনা করে সিদ্ধান্ত দিবেন। বাবুল আক্তারকে কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন-১ মর্যাদা দেয়ার আবেদন মন্জুর করেছেন আদালত। বাবুল আক্তারের সাথে একান্তে ১ ঘন্টা আলোচনা করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। মামলায় আসামিরা হলেন- সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার, এহতেশামুল হক ভোলা, শাহজাহান মিয়া, মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিম, আনোয়ার হোসেন, কামরুল ইসলাম শিকদার প্রকাশ মুছা ও খায়রুল ইসলাম প্রকাশ কালু।
অভিযোগপত্রে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআই উল্লেখ করেছে, পরকীয়ার ঘটনা জেনে যাওয়ায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার তার সোর্সদের দিয়ে স্ত্রী মিতুকে খুন করিয়েছেন বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
বাবুল –মিতু দম্পতির বড় ছেলে আলোচিত এই হত্যাকা-ের প্রত্যক্ষদর্শী। ছেলের সামনে ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরের জিইসি মোড়ে মিতুকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। ওই সময় মিতু ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাচ্ছিলেন।
পুলিশ সুপার (এসপি) পদে পদোন্নতি পেয়ে পুলিশ সদর দফতরে যোগ দিতে যাওয়ায় হত্যাকাণ্ডের সময় ঢাকায় ছিলেন বাবুল আক্তার। স্ত্রীর মৃত্যুর পর তিনি বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার এজাহারে তিনি উল্লেখ করেন, জঙ্গিবাদবিরোধী অভিযানে যুক্ত থাকায় তাঁর স্ত্রী খুন হয়ে থাকতে পারে। অবশ্য তিন সপ্তাহের কম সময়ে মামলার মোড় ঘুরে যায়।
মিতু হত্যা মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই এর দাবি, বাবুল এ ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। এরপর বাবুলসহ ৯ জনকে আসামি করে নতুন হত্যা মামলা করেন মিতুর বাবা মোশাররফ। তখন থেকে বাবুল আকতার কারাগারে বন্দি আছেন।
জেএন/এফও/এও