বিশ্বনন্দিত ফ্যাশন ইভেন্ট ‘প্যারিস ফ্যাশন উইক’ এ অংশগ্রহণ করলেন বাংলাদেশের ফারনাজ আলম। ফ্যাশন দুনিয়ায় মর্যাদাপূর্ণ এই শোতে প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশি উদ্যোক্তা এবং ফ্যাশন ইনফ্লুয়েনসার হিসেবে আমন্ত্রিত হয়েছিলেন তিনি।
তিন দিনের অনুষ্ঠিত এ ফ্যাশন উইকে অংশ নেওয়া বিশ্বের তিনজন স্বনামধন্য ফ্যাশন ডিজাইনারের ডিজাইন করা পোশাক পরে ফারনাজ আলম উপস্থিত ছিলেন ইভেন্টটির প্রতিটি শোতে।
১ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া প্যারিসের ঐতিহ্যবাহী এক স্থাপত্য ভবনে আয়োজিত এ ফ্যাশন উইকে প্রথম দিন ছিল ‘কার্ল লেগারফিল্ড’ এর শো। এই শোতে আরও ছিলেন বিশ্বের সেরা ফ্যাশন ইনফ্লুয়েনসাররা, সেলিব্রিটি এবং সেই সঙ্গে অনেক আর্ন্তজাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ অতিথি। এই শো টি ছিল কার্ল লেগারফিল্ডের সামার কালেকশন।
১, ২ এবং ৪ অক্টোবরে অনুষ্ঠিত এ ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল ‘ভ্যালেন্টিনিও’ এর শো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় ‘স্পাইডারম্যান’ সিরিজ মুভির আমেরিকান অভিনেত্রী জেন্ডায়া। তিনি আবার ভ্যালেন্টিনোর ব্র্যান্ড অ্যাম্বেসেডরও।
এটা আসলে একটি আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা। কেননা এই কালেকশনগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষদের সঙ্গে অংশগ্রহণের সুয়োগ করে দিয়েছে আমাকে। আর একজন বাংলাদেশি হিসেবে এখানে প্রথমবারের মতো কাজ করতে পারার অনুভূতি অভাবনীয়।
এ ছাড়া তিনি ফ্যাশন জগতের সব সেলিব্রেটি, ভোগ ম্যাগাজিনের চিফ এডিটর, বিশ্ব ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। সেলিব্রেটিদের মধ্যে ছিলেন নিকোলা বেকহ্যাম, ব্রুকলিন বেকহ্যাম, আনা উইন্টুর, বেলা হাদিদ, নাওমি ক্যাম্পবেলও ছিলেন। এটি যেন সব তারকাদের মেলা। ফ্যাশন ওয়ার্ল্ড, মডেল ওয়ার্ল্ড, বিউটি ওয়ার্ল্ড এর এক অনন্য কম্বিনেশন। ওরা ভ্যালেন্টাইন শোতে শোকেস করে ওদের পরবর্তী আসন্ন বসন্ত, গ্রীষ্মের কালেকশন।
এ প্রসঙ্গে ফারনাজ আলম বলেন, ‘এটা আসলে একটি আশ্চর্যজনক অভিজ্ঞতা। কেননা এই কালেকশনগুলো বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত মানুষদের সঙ্গে অংশগ্রহণের সুয়োগ করে দিয়েছে আমাকে। আর একজন বাংলাদেশি হিসেবে এখানে প্রথমবারের মতো কাজ করতে পারার অনুভূতি অভাবনীয়।’
তৃতীয় দিনে ‘মিউমিউ’ব্রান্ডের শোতেও ফ্যাশন ওয়ার্ল্ডের নেতৃস্থানীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বরা উপস্থিত ছিলেন। ভোগ ম্যাগাজিন এবং ব্র্যান্ড ইলে সাব, ওয়াইএসএল, জর্জেস হোবেইকার অফিশিয়াল-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বিদেশের মাটিতে ফারনাজ আলম বাংলাদেশের দুটো ব্র্যান্ডের শোকেস করেছেন। তিনি পরেছিলেন বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ‘মুক্তা’ এবং ‘মারিয়ামাহ’-এর পোশাক। এ ছাড়া জেসন লাক্সারি ব্র্যান্ড তাকে স্পন্সর করেছিল। যাদের ড্রেস তিনি শোগুলোতে পরেছিলেন সেগুলো হলো- ভ্যালেন্টাইন, মিউমিউ, ইলি সাব, ওয়াইএসএল, জর্জেস হোবেইকা।
পাশাপাশি একজন বাংলাদেশি ফ্যাশন ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে প্যারিস ফ্যাশন উইকের তিনটি স্পেশাল ফটোস্যুটে মডেল হয়েছেন তিনি। সেখানে তিনটি লাক্সারি ব্র্যান্ডের পোশাক পরেছেন ফারনাজ আলম। এই আন্তর্জাতিক মর্যাদাসম্পন্ন আয়োজনে সফলভাবে বাংলাদেশেকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে পেরে এবং নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পেরে গর্বিত ফারনাজ আলম। সামনের আরও আন্তর্জাতিক ফ্যাশন আয়োজনগুলোতেও তিনি বাংলাদেশকে উপস্থাপন করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন।
জেএন/এফও/এমআর