পাকিস্তানের রোববারের গুরত্বপূর্ণ উপ-নির্বাচনে আটটি জাতীয় পরিষদের আসনের মধ্যে ছয়টি আসনই পেয়েছে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। এর মধ্যে ছয়টি আসনে জিতেছেন ইমরান নিজেই।
জিওটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ইমরান খান। তিনি নিজেই ৬টি আসনে জয়লাভ করেছেন। এর মাধ্যমে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৫ আসনে জেতার নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙলেন ইমরান।
ইমরান খানের আগে পাকিস্তান পিপলস পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জুলফিকার আলী ভুট্টো একসঙ্গে পাঁচটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী চারটি আসনে বিজয়ী হয়েছিলেন এবং একটিতে হেরেছিলেন।
প্রাথমিক ফলাফলে দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ(পিএমএল-এন) সহ জমিয়তে উলেমা-ই-ইসলাম, মুত্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট ও আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি কোনো আসনই দখল করতে পারেনি।
এনএ-২২ মারদান তৃতীয়, এনএ-২৪ চারসাদ্দা দ্বিতীয়, এনএ-৩১ পেশোয়ার পঞ্চম, এনএ-১০৮ ফয়সালাবাদ অষ্টম, এনএ-১১৮ নানকানা সাহিব দ্বিতীয়, এনএ-১৫৭ মুলতান চতুর্থ, এনএ-২৩৭ মালি দ্বিতীয়, এনএ-২৩৯ কোরাঙ্গি করাচি প্রথম, এই আটটি আসনে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুধুমাত্র মুলতানের আসন বাদে বাকি প্রত্যেকটি আসনেই প্রার্থী হিসেবে লড়েছেন ইমরান। এর মধ্যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা হাকিম বালোচের কাছে মালির আসনে হেরেছেন তিনি।
এপ্রিলে অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ইমরান খানকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বহিষ্কারের পর পিটিআইয়ের আইন প্রণেতাদের পদত্যাগের পরে শূন্য হয়ে যাওয়া ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির আসনগুলোতে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।
জয়নিউজ/পিডি