জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম থেকে: চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বশেষ ১১ ম্যাচের ৯টিতেই জিতেছে বাংলাদেশ। তার চেয়েও বড় কথা জিম্বাবুয়ের কাছে এই ভেন্যুতে কখনো হারেনি টাইগাররা। এরই ধারাবাহিকতায় সিরিজের শেষ ওয়ানেডেতে জিম্বাবুয়েকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা তৃৃৃতীয়বারের মতো বাংলাওয়াশে ‘চট্টগ্রাম পর্ব’ শেষ করলো টাইগাররা।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা জিম্বাবুয়ে শিন উইলিয়ামসের ১২৯* ও ব্রেন্ডন টেলরের ৭৫ রানের ইনিংসে ৫০ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান সংগ্রহ করে।
২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই লিটন দাসের উইকেট হারিয়ে খানিকটা বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। লিটনের বিদায়ে উইকেটে আসেন সিরিজের মাঝপথে হঠাৎ দলে ডাক পাওয়া সৌম্য সরকার। এরপর শুরু হয় দুজনের ব্যাটিং ঝড়। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ২২০ রানের জুটি। মাত্র ৮১ বলে সৌম্য তুলে নেন তাঁর ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি করার পর সৌম্য যেন আরো অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। ২৯তম ওভারে এসে সিকান্দার রাজাকে ৪ বলের ব্যবধানে মারেন দুই ছক্কা। অবশ্য ৩০তম ওভারের শেষ বলে দলীয় ২২০ রানে হ্যামিল্টন মাসাকাদজার বলে ত্রিপানোর হাতে ক্যাচ দিয়ে ব্যক্তিগত ১১৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য সরকার।
সৌম্যের বিদায়ে উইকেটে আসেন মুশফিকুর রহিম। ইমরুলের সঙ্গে গড়েন ৫৪ রানের জুটি। এরপর দলীয় ২৭৪ রানে ১১২ বলে ১১৫ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে চিগুম্বুরার হাতে ক্যাচ দিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন ইমরুল কায়েস। ততক্ষণে বাংলাদেশের জয় একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। ইমরুলের আউটের পর উইকেটে আসেন মোহাম্মদ মিঠুন।
মুশফিক মিঠুনকে সাথে নিয়ে বাংলাওয়াশের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। মুশফিক ২৮ রানে ও মোহাম্মদ মিঠুন ৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন।
সৌম্য সরকার ম্যাচসেরা ও ইমরুল কায়েস সিরিজসেরা হয়েছেন।