তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গোপন কক্ষ গোপন কক্ষই। সেখানে মানুষ গোপনে ভোট দেবে, কিন্তু সেখানে যদি ক্যামেরা লাগানো হয়, তাহলে তো সেটা গোপন থাকে না। এটা সাধারণ মানুষ ও আইনজ্ঞদের অভিমত।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি এটা দেখে ও অন্যদের দেখায়, তাহলে সেটা ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন। সিসি ক্যামেরা লাগানো যেতে পারে, কিন্তু গোপন কক্ষে সিসিটিভি নিয়ে অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এতে ভোটারের ভোটার হিসেবে অধিকার লঙ্ঘন হয় বলে আইনজ্ঞরা বলছেন। আমি বলছি না
আজ বুধবার (১৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কথাগুলো বলেন।
তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরা থাকতে পারে, তবে কে কোথায় ভোট দিচ্ছে সেটা দেখলে কি সেটা গোপন থাকল?
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন কয়েকটি নির্বাচন ঢাকায় স্থাপিত সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করেছে, তবে ক্যামেরা ভোটকেন্দ্রে স্থাপন করা হলেও গোপন কক্ষে তা বসানো হয়নি।
সবশেষ গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনও নির্বাচন ভবনে বসানো সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়। ১২ অক্টোবর ওই নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই গোপন কক্ষে অবৈধ ব্যক্তির অনুপ্রবেশ ও কারচুপি দেখতে পেয়ে একে একে ৫১টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করেন নির্বাচন কমিশনাররা। পরবর্তী সময়ে পুরো উপনির্বাচনের ভোটই বন্ধ করে দেয়া হয়।
জেএন/পিআর