মালয়েশিয়া বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। দেশটির সঙ্গে বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘ দিনের। বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে ভেজিটেবল ফ্যাট ও প্রচুর পামঅয়েলসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে থাকে। উচ্চশুল্ক হারের কারণে সে পরিমাণ বাংলাদেশের পণ্য মালয়েশিয়ায় রপ্তানি করা সম্ভব হয় না। তবে এ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া গেলে মালয়েশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের তৈরি পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিমের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২০২১-২২ অর্থ বছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে তিন হাজার ২৮৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে, একই সময়ে মাত্র ৩৩৭.৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে। বাণিজ্য ঘাটতি দুই হাজার ৯৫১ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ বিপুল পরিমাণ বাণিজ্য ঘাটতি পূরণে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ চলমান এ বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এরই মধ্যে বেশ কিছু রপ্তানি পণ্যের তালিকা শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়ার জন্য মালয়েশিয়ায় পাঠানো হয়েছে।
মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার হাজনাহ মো. হাসিম বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। মালয়েশিয়ার তৈরি গাড়ি বিশ্ববাজারে বেশ জনপ্রিয়। উচ্চ শুল্ক হারের কারণে এসব গাড়ি বাংলাদেশে রপ্তানি করা সম্ভব হচ্ছে না। শুল্ক কমালে এগুলো বাংলাদেশে বাজারজাত করা সম্ভব হবে। উভয় দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির আরও অনেক সুযোগ রয়েছে। মালয়েশিয়া এ সুযোগ কাজে লাগাতে চায়।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিমসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তারা এবং মালয়েশিয়ান হাই কমিশনের কাউন্সিলর আনিস ওয়াজদি মোহা. ইউসুফ ও ফাস্ট সেক্রেটারি হোদ আশজুয়ান আবদ সামাত উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/পিডি