সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী পিতাকে ‘শহীদ’ সম্বোধন করায় বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে হুম্মামের নগরের বাসভবন ‘গুডস হিল’ঘেরাওয়ের কর্মসূচি দিয়েছে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।
শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতারা। পাশাপাশি কোনো সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীর স্ত্রী-সন্তানদের রাজনীতিতে নিষিদ্ধ ও সম্পদ বাজেয়াপ্তের দাবি ছাড়াও বিএনপি-জামাতের সন্ত্রাস-নৈরাজ্য, জঙ্গি মদদ ও নাশকতার প্রতিবাদে আগামী ২৯ অক্টোবর ওই কর্মসূচি পালনের কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সচিব কামরুল হুদা পাভেল বলেন, গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় মহা সমাবেশে বক্তব্য দেয়ার সময় কুখ্যাত যুদ্ধাপারাধী সাকা চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের নিজের বাবাকে শহীদ উল্লেখ করে স্লোগান দেয়। আমরা মনে করি, এটা শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অপমান।
তিনি আরো বলেন, ১৯৭২ সালে যুদ্ধাপরাধী ও মানবতাবীরোধী সাকা চৌধুরীর বিচার হলে হুম্মাম চৌধুরীর জন্ম হতো না। হুম্মাম চৌধুরীর অঙ্গভঙ্গি রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।
এ অবস্থায় ৭ দিনের মধ্যে ক্ষমা না চাইলে আগামী ২৯ অক্টোবর সকাল ১১টায় পৈত্রিকসূত্রে হুম্মাম কাদেরের বাসভবন ‘গুডস হিল’ ঘেরাও করা হবে বলে জানান পাভেল।
এর আগে গত ১৮ অক্টোবর প্রেসক্লাব চত্বরে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর পুত্র হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে ৭ দিন সময় বেঁধে দিয়েছিল মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড।
গত ১২ অক্টোবর চট্টগ্রামে বিএনপির বিভাগীয় মহাসমাবেশে যুদ্ধাপরাধে দণ্ডিত পিতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে শহীদ সম্বোধন করে ‘নারায়ে তাকবির’ শ্লোগান দিয়েছিলেন হুম্মাম। ওই শ্লোগানকে কেন্দ্র করে পরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের কমান্ডার মোজাফফর আহমদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সরোয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল, সাহেদ মুরাদ সাকু, মিজানুর রহমান সজিব, মো. সাজ্জাদ হোসেন, মো. কাজী রাজিশ ইমরানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
জয়নিউজ/পিডি