‘আইন মেনে সড়কে চলি, নিরাপদে ঘরে ফিরি’ এ প্রতিপাদ্য বিষয় সামনে চট্টগ্রামে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন ও বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির আয়োজনে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট মোছাম্মদ সুমনী আক্তার।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হাইওয়ে পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন ও চট্টগ্রাম বিআরটিএ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার দেব ও সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা।
এদিকে আলোচনা সভা শেষে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় সচেতনামূলক প্রোগ্রাম রোড-শো’র আয়োজন করা হয়।
এতে বিআরটিএ চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক শফিকুজ্জামান ভ’ঞা ও উপ-পরিচালক (ডিডি) তৌহিদুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক রায়হানা আক্তারসহ বিআরটিএর’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তেব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোছাম্মদ সুমনী আক্তার বলেন, ট্রাফিক আইন মেনে রাস্তায় চলাচল করলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমিয়ে আনা সম্ভব। একটি গ্রুপ বা পক্ষ সচেতন হলে সড়ক নিরাপদ হয়ে যাবে এমনটা। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সড়ক দুর্ঘটনায় কারও মৃত্যুবরণ বা পঙ্গুত্ববরণ আমাদের কাম্য নয়। প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও অদক্ষ চালক দ্বারা গাড়ি চালানোর কারণে সড়কে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। নিরাপদ সড়ক উপহার দেয়া আমাদের সকলের দায়িত্ব।
এছাড়াও বক্তারা বলেন, যান্ত্রিক ত্রুটিযুক্ত ও ফিটনেসবিহীন অসংখ্য লক্কর ঝক্কর গাড়িও সড়কে চলাচল করছে। এগুলোর জন্য শুধু গাড়ির চালক-হেলপার দায়ি নয়, যিনি গাড়ির মালিক তাকেও এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। গাড়ি নিয়মিত চেকআপ করতে হবে। নিজেরা সচেতন না হলে দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব নয়। গাড়ির চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের জন্য দেশের ২৫টি জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার কাজ শুরু করেছে।
মোটরযান আইন, ট্রাফিক আইন ও ট্রাফিক পুলিশের নির্দেশ মেনে গাড়ি চালাতে হবে। মাদক সেবন করে এবং চোখে ঘুম নিয়ে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। শুধু বড় গাড়ি নয়, মাইক্রোবাস, সিএনজি চালিত অটোরিক্সা, নছিমন, করিমন ও অন্যান্য গাড়ি চালকদেরকে নিয়োগ দেয়ার আগে তাদেরকে প্রশিক্ষণের আওতায় আনা অত্যন্ত জরুরি।
জেএন/এফও/এমআর