প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ একেবারে দুর্বল হয়ে গেছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে মহাবিপৎসংকেত তুলে নিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সিত্রাং এর রেশ এখনো অনুভব হচ্ছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হচ্ছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে জানমালের ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কায় আশ্রয়কেন্দ্রে নির্ঘুম রাত কাটানোর পর ঘূর্ণিঝড়টি নিম্মচাপে পরিণত হওয়ায় উপকূলের মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিরাপদে যাওয়া মানুষজন গবাদিপশু নিয়ে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যাচ্ছে।
এর আগে মঙ্গলবার রাতেই ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হেনেছে। সিত্রাংয়ের আঘাতে দেশের ৭ জেলায় ১১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে কুমিল্লায় একই পরিবারের তিন জন, ভোলায় দুজন, সিরাজগঞ্জে দুজন, নড়াইল, বরগুনা, শরীয়তপুর ও রাজধানী ঢাকায় একজন করে রয়েছেন।
বাগেরহাট জেলার ৩৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিল ৭৩ হাজার ২০০ জন। আজ সকাল থেকে আবহাওয়া উজ্জ্বল থাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান মিলন বলেন, ‘উপজেলার সাউথখাল,খোন্তাকাটা, রায়েন্দা ও ধানসাগর ইউনিয়নে বিপুল পরিমাণ গাছ উপড়ে পড়েছে।
বেশকিছু কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা সব মিলিয়ে চেষ্টা করেছি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার। উপজেলার কোথাও কোনো মানুষের ক্ষতি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। ’
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘জেলার ৩৪৪ আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৩ হাজার ২০০ মানুষ এসেছে। ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে আমরা কাজ শুরু করেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সরকারি নিয়ম অনুযায়ী সহযোগিতা করা হবে।
জেএন/পিআর