দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতের অনুভূতি হলেও আমেজ শুরু হবে নভেম্বরের শেষ দিকে। শীতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও এক মাস। মৌসুমি বায়ু বিদায় নেওয়ার পর বর্তমানে দেড় মাসের হেমন্ত ঋতুর নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক
তিনি বলেন, ‘ভারি বর্ষণের ফলে সারা দেশে শীত শীত অনুভূতি হচ্ছে। শীত আসতে এখনও মাসখানেক সময় লাগবে। আমাদের দেশে মূলত ডিসেম্বরে শীত শুরু হয়। সেক্ষেত্রে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে শীতের আভাস শুরু হতে পারে। আমাদের অবজারভেশনে এখন পর্যন্ত শীতের কোনো চিত্র আসেনি। মূলত ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের ফলে দেশে ভারি বৃষ্টি হয়েছে, তাপমাত্রাও কিছুটা কমেছে। এর ফলে শীতের মতো মনে হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে ২০ অক্টোবর। এই মৌসুমি বায়ুর বিদায় এবং শীতের মাঝামাঝিতে যেই সময়টা বিরাজ করে তাকে হেমন্তকাল বলা হয়। মূলত দেড় মাসের মতো হেমন্তকালের আবহাওয়া বিরাজ করবে, এরপর শীতকাল শুরু হবে।’
কবে থেকে শীতের আমেজ শুরু হবে— এমন প্রশ্নে আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ‘নভেম্বর মাসের ২০ তারিখ থেকে দেশে শীতের আমেজ শুরু হতে পারে। আগামী ২০ তারিখের আগ পর্যন্ত এসময়টাকে ট্রানজিশন পিরিয়ড বলে। এসময়টাতে বর্ষা শেষ হয়ে যায় এবং শীত আসার আগের সময়টাকে ট্রানজিশন পিরিয়ড অথবা হেমন্তকাল বলে। নভেম্বরের মাঝামাঝি থেকে শীতের আমেজ শুরু হলেও মূলত ডিসেম্বর থেকে শীতকাল শুরু হয়।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের উত্তরাঞ্চল দিয়ে শীত প্রবেশ করবে। দেশের দুই পয়েন্ট দিয়ে উত্তরপূর্ব মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। উত্তরপশ্চিমের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া এবং উত্তরপূর্ব দিকের শ্রীমঙ্গল পয়েন্ট দিয়ে দেশে শীত প্রবেশ করবে। তবে এর মধ্যে সর্বপ্রথম উত্তরপশ্চিমের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া দিয়ে শীত প্রবেশ করবে।’
জয়নিউজ/পিডি