চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে পরকীয়ার জেরে মাছের বিষাক্ত গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নাজিম উদ্দিন সাইফুল (৪২) নামে তিন সন্তানের পিতা আত্মহত্যা করেছে। উপজেলার ৬ নম্বর ইছাখালী ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চুনিমিঝিরটেক গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সাইফুল ওই বাড়ির মৃত আনোয়ার আলমের পুত্র ও তিন সন্তানের জনক।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ইছাখালী ইউনিয়নের চুনিমিঝিরটেক গ্রামের সিরাজ মিয়ার বাড়ির নাজিম উদ্দিন সাইফুল একই বাড়ির এক গৃহবধূর সাথে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে বারোটা দিকে মাছের বিষাক্ত গ্যাসের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন। জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মস্তাননগর হাসপাতাল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এবিষয়ে ইছাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য জোহরা বেগম জানান, দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ একই বাড়ির এক গৃহবধূর সাথে পরকীয়ায় লিপ্ত হওয়ায় নাজিম উদ্দিন সাইফুলকে নিয়ে একাধিকবার গ্রাম্য সালিশ করে বিষয়টি মীমাংসা করা হলেও তারা বারবার পরকীয়ার জড়িয়ে পড়েন। মাঝখানে কিছু দিন যোগাযোগ বন্ধ থাকার পরে সম্প্রতি পুনরায় পরকীয়ায় জড়িত হন। এতে উভয়ের দাম্পত্য জীবনে কলহ বিবাদের জেরে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত নারীর ওপর ক্ষোভ ও অভিমানের কারণে পরকীয়া প্রেমিক সাইফুল আত্মহত্যা করেছেন।
জোরারগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরকীয়ার জেরে নাজিম উদ্দিন সাইফুল নামের এক যুবক বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মস্তাননগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত
চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। সেখান থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) পাঠানো হয়। পরকীয়া প্রেমিকের উপর ক্ষোভ ও অভিমানে মাছের বিষাক্ত গ্যাসের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।
এবিষয়ে রোববার রাতে জোরারগঞ্জ থানায় অপমৃত্যু মামলা রজু করে সাইফুলের স্ত্রী নাসিমা আক্তারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/এমআর