র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এম খুরশীদ হোসেন বলেছেন, ‘র্যাবের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় যেসব অভিযোগ করা হয়েছিল তা তদন্ত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে সবগুলো অভিযোগের জবাব দেয়া হয়েছে। তাদের অধিকাংশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি।’
তিনি আজ সোমবার সিলেটে র্যাব-৯ এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। শহরতলীর মজিরপুরে শাহপরান বাইপাস সংলগ্ন র্যাব হেডকোয়ার্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় সাংবাদিকদের অপর প্রশ্নের জবাবে র্যাব ডিজি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় র্যাবে যে সব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে, তার দায়িত্ব সরকারের। নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দায়িত্বও সরকারের। সরকার বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে।’
সংস্থার কেউ আইন বিরোধী কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘র্যাব তার নীতিতে অবিচল। প্রত্যেক বাহিনীর নিজস্ব আইনকানুন থাকে। সেখানে বলা আছে, সংস্থায় কেউ যদি অপরাধ করে নিয়ম অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এম খুরশীদ হোসেন বলেন, ‘বান্দরবানের গহীন পাহাড়ে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান এখনও চলমান। জঙ্গি-সন্ত্রাসীরা যেখানেই থাকুক না কেন, সেখানেই অভিযান চালাবে র্যাব। র্যাব দেশের জনগণের কাছে আস্থা এবং জঙ্গি-সন্ত্রাসীদের কাছে আতঙ্কের নাম।’
মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনায় জঙ্গি, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে কাজ করে যাচ্ছে র্যাব। দেশের আইনশৃংখলা রক্ষায় অতন্ত্র প্রহরী হয়ে র্যাব অবিরাম কাজ করে যাচ্ছে।’
র্যাব-৯ সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে মানুষের আস্থা অর্জন ও জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আইনশৃংখলার রক্ষায় নিয়োজিত থাকার পাশাপাশি র্যাব-৯ সকল দুর্যোগ মূহুর্তে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিগত বন্যায় অসহায় মানুষের মুখে খাবার তুলে দেয়াসহ নানা সহায়তা প্রদান করেছে র্যাব-৯।’
এছাড়াও বিভিন্ন সময় মেডিক্যাল ক্যাম্প গঠন করে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান, এতিমদের মাঝে খাবার ও বস্ত্র বিতরণ করে তাদের মুখে হাসি ফুটানোসহ নানা সমাজসেবামূলক কর্মকা- র্যাব-৯ পরিচালনা করছে। আগামীতেও এসকল কর্মকা- অব্যাহত রাখবে র্যাব-৯।’
তিনি ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর থেকে র্যাব-৯ এর যেসকল সদস্য দেশের জন্য কাজ করে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানান।
জেএন/এমআর