১৮তম ওভারে বল করতে এসে জোড়া উইকেট নিলেন ফার্গুসন। এতে পরাজয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় আয়ারল্যান্ডের। শুধু চেষ্টা চলছিল পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর।
শেষ ২ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ১২ বলে ৫৩ রানের। ১৯তম ওভারে মাত্র ৮ রান দিলেন কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। এতেই পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায় আইরিশদের। কারণ, শেষ ৬ বলে ৪৫ রান ক্রিকেটীয় ভাষায় অসম্ভব।
সেই ওভারে ১ উইকেট শিকার করে ৯ রান দিলেন আরেক কিউই পেসার টিম সাউদি।
এরইসঙ্গে নিউজিল্যান্ডের দেওয়া লক্ষ্য ১৮৫ রানের তাড়ায় ৯ উইকেটে দেড়শ রানে থামে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস।
ফলে ৩৫ রানের সহজ জয় পেয়েছে কেইন উইলিয়ামসনের দল। এরইসঙ্গে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের টিকিট প্রায় নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। সুপার টুয়েলভে এটি তাদের তৃতীয় জয়।
১৮৫ রান তাড়ায় শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল আয়ারল্যান্ড। প্রথম ৮ ওভারেই বিনা উইকেটে ৬৮ রান তুলে ফেলে দুই আইরিশ ওপেনার। ৩৬ ও ৩০ রান আসে যথাক্রমে পল স্টার্লিং ও অ্যান্ডি বিলবার্নির ব্যাট ছুঁয়ে।
এরপরই আইরিশ শিবিরে মড়ক লাগিয়ে দিলেন মিচেল স্যান্টনার আর ইস সোধিরা। দুই স্পিনারের আট ওভার হাত ঘুরিয়ে দেন ৫৭ রান, নেন ২টি করে ৪ উইকেট।
নবম ওভারে স্যান্টনারের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি। পরের ওভারে সোধির বলে প্রায় একইভাবে বোল্ড হন আরেক ওপেনার পল স্টার্লিংও। ২৭ বলে ৩৭ রান করে যান অভিজ্ঞ এই ওপেনার।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে আয়ারল্যান্ড। রানের গতিও ধীর হয়ে যায়।
শেষদিকে লকি ফার্গুসন, বোল্ট ও সাউদি উইকেট শিকারে যোগ দেন। ফার্গুসন ৩টি আর সাউদি ২টি উইকেট নেন।
১০ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান করে আয়ারল্যান্ড। ১১তম ওভারে দ্বিতীয় আঘাত হানেন সান্টনার।
তার বলে টিম সাউদির হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন হ্যারি টেক্টর। ৭ বল খেলে ২ রান করে আউট হন তিনি।
১৪তম ওভারে গিয়ে ৪র্থ উইকেট হারায় আয়ারল্যান্ড। এবার সাফল্য ফার্গুসনের। তার বলে কিপার কনওয়ের গ্লাভসে বল তুলে দিয়ে ৮ বলে ১০ করে ফিরেন গ্যারেথ ডিলানি।
পরের ওভারে ১৪ বলে ১৩ করে আউট হলেন লরকান টাকার। ইশ সোধির বলে ফিন অ্যালেন ক্যাচ ধরেন।
১৫ ওভারে ৫ উইকেটে রান দাঁড়ায় ১০৩।
এক ওভার বিরতি দিয়ে ফের সাজঘরে ফেরার পালা। এবার দাপট দেখালেন পেসার টিম সাউদি। কার্টিস ক্যাম্পারকে ফেরালেন এ পেসার। ফিন অ্যালেন ক্যাচ ধরলে ৭ বলে ৭ করে ফিরলেন ক্যাম্পার।
১৭ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান হয় আয়ারল্যান্ডের। ১৮তম ওভারে ফিওন হ্যান্ড ও জর্জ ডকরলেকে ফেরালেন ফার্গুসন।
৩ বলে ৫ করে ফার্গুসনের হাতেই ক্যাচ দিলেন হ্যান্ড। ১ বল পরেই ফার্গুসন ফেরান ১৫ বলে ২৩ রান করে উইলিয়ামসনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ডকরেল সাজঘরে ফিরে যান।
পরের ওভারে টিম সাউজির বলে গ্লেন ফিলিপসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন মার্ক অ্যাডায়ার। তিনি করেছেন ৫ বলে ৪।
২০ ওভার ব্যাট করে আয়ারল্যান্ড থামে ৯ উইকেটে ১৫০ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডকে পাওয়ার প্লেতে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালেন ডেভন কনওয়ে।
৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ১৮ বলে ৩২ রানে আউট হন ওপেনার ফিন অ্যালেন। এ সময় কিউইদের স্কোর ছিল ৫২। উইলিয়ামসনের সঙ্গে কনওয়ের ৩৩ বল জুটির দ্বিতীয় উইকেটে আসে ৪৪ রান।
তবে চতুর্থ উইকেটে উইলিয়ামসন-ড্যারিল মিচেল জুটিতেই শক্ত ভিতে দাঁড়িয়ে যায় কিউই ইনিংস। ৩১ বলে ওঠা ৬০ রানের জুটি গড়ার পথে ফিফটি করেন উইলিয়ামসন।
শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারিতে ক্যাচ হওয়ার আগে ৩ ছয় ৫ চারে ৩৫ বলে খেলে যান ৬১ রানের ইনিংস। মিচেলের ২১ বলে ৩১ রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে পৌনে দুই শ রান জমা করে কিউইরা।
এ সংগ্রহ আরও বেশি হতে পারত। কিন্তু ১৯তম ওভারে মাত্র ৩ রান দিয়ে দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করেন আইরিশ পেসার জোশ লিটল। কেইন উইলিয়ামসনসহ জিমি নিশাম ও মিচেল স্যান্টনারকে ফেরান তিনি।
জেএন/এমআর