অনেকটা আচমকাই ফুটবল থেকে বিদায়ের ঘোষণাটা দিয়েছিলেন জেরার্ড পিকে। জানিয়েছিলেন, শনিবার রাতেই ন্যু ক্যাম্পে ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচটা খেলবেন তিনি। আলমেরিয়ার বিপক্ষে তার বিদায়ী ম্যাচে বার্সেলোনা পেয়েছে ২-০ গোলের জয়। তাতে বার্সা টপকে গেছে রিয়াল মাদ্রিদকে, চলে এসেছে লা লিগার শীর্ষে, সঙ্গে পিকেকেও বিদায়টা ভালোভাবেই জানিয়ে দিয়েছে কাতালান দলটি।
ন্যু ক্যাম্পে পিকের বিদায়ী ম্যাচে ৯২ হাজার ৬০৫ জন দর্শক এসে হাজির হয়েছিলেন বার্সেলোনার ঘরের মাঠে। অধিনায়ক সার্জিও বুসকেটস অধিনায়কের বাহুবন্ধনীটা তুলে দেন পিকের হাতে। শেষ ১৪ বছর ধরে যে ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, ঘরের মাঠে বিদায়ী ম্যাচের দিনে তিনি সেই ক্লাবের নেতৃত্বের দায়িত্বটা পান।
এমন ম্যাচে অবশ্য শুরুর অর্ধে বার্সেলোনা গোল পায়নি ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায়। ৭ মিনিটে পেনাল্টি মিস করেন রবার্ট লেভান্ডভস্কি। ৩১ মিনিটে ফেররান তরেস গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়েও গোল পাননি, গোললাইন থেকে বলটা ক্লিয়ার করেন আলমেরিয়া ডিফেন্ডার। এর আগে পরে সফরকারী গোলরক্ষক ফের্নান্দো মার্টিনেজ নিশ্চিত কয়েকটি গোলের সুযোগ হারিয়েছেন। ফলে গোলশূন্যভাবেই প্রথমার্ধ শেষ করে বার্সা।
ম্যাচের ৪৮ মিনিটে অবশেষে গোলের দেখা পায় বার্সেলোনা। উসমান দেম্বেলের দারুণ এক গোলে দলটি এগিয়ে যায় ম্যাচে। ৬২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। বদলি খেলোয়াড় আনসু ফাতির শট ঠেকালেও ডি ইয়ংয়ের ফিরতি চেষ্টাটা ঠেকাতে পারেননি তিনি। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় দলটি।
এরপর আরও গোলের সুযোগ পেলেও গোল আর পায়নি লা ব্লাউগ্রানারা। তবে ম্যাচের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্তের দেখা মেলে ৮৩ মিনিটে। কোচ জাভি যখন জেরার্ড পিকেকে তুলে নেন মাঠ থেকে। কান্না চোখে নিয়ে সতীর্থদের জড়িয়ে ধরে বিদায় জানান তিনি, মাঠ ছাড়ার সময় দর্শকদের দাঁড়ানো অভিবাদনও পান তিনি।
ম্যাচ জেতার পর সতীর্থরা তাকে শূন্যে ছুঁড়ে উদযাপন করেন। এরপর আবেগি এক পরিবেশে দর্শকদের বিদায় জানান পিকে। তখন ন্যু ক্যাম্পের বড় পর্দায় ভেসে ওঠে পিকের ক্যারিয়ারের বিভিন্ন স্মরণীয় মুহূর্ত।
ন্যু ক্যাম্পকে বিদায় জানালেও পিকের শেষ ম্যাচ এটাই নয়। আগামী মঙ্গলবার কাতার বিশ্বকাপের আগে শেষ ম্যাচে বার্সেলোনার। ওসাসুনার মাঠে সেই ম্যাচটি খেলেই ফুটবলকে বিদায় জানান পিকে।
জেএন/এমআর