কক্সবাজারের চকরিয়ার বদরখালী বাজারে ছুরিকাঘাতে অটোরিকশার চালক আজম বাহাদুর খুন হন। এরপর দুই ঘাতক চট্টগ্রামের হাটহাজারিতে আত্মগোপনে যায়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি ঘাতক ইয়াছিন আরাফাত (২২) ও মো. কাজলের (২৪)।
র্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার বলেন, চকরিয়ায় খুনের পর আরাফাত ও কাজল হাটহাজারিতে চলে আসেন। প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের শনাক্ত করে উপজেলার চিকনদণ্ডী এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়।
গ্রেফতারকৃত ইয়াছিন আরাফাত চকরিয়া থানার নাপিতখালী পাড়া ইউনিয়নের মো.ইছহাকের ছেলে।
র্যাবের গণমাধ্যম শাখা জানিয়ে, ভাড়া নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে খুন হয় অটোরিকশার চালক আজম বাহাদুর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করে হত্যাকারীরা। তারা জানান, ১৩ অক্টোবর স্থানীয় বদরখালী কলেজপাড়া এলাকার যুবক মো. ইয়াছিন তার মা সহ নিহত রাসেলের অটোরিকশা করে বদরখালী বাজারে যান।
সেখানে ইয়াছিনের বাবার খাবার হোটেল রয়েছে। বাজারে পৌঁছার পর ভাড়া নিয়ে আজম বাহাদুরের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। ওই সময় ভাড়া মিটিয়ে দেওয়ার পর ভুক্তভোগী ইয়াছিনের দোকানে খাওয়ার জন্য যায়। সেখানে আবারও তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডর ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে তারা ছুরি দিয়ে রাসেলের বুকে আঘাত করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।
র্যাব আরও জানায়, হত্যাকাণ্ডের রাসেলের বাবা বাদী ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।
র্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. নূরুল আবছার জানান, আটক দুইজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় পাঠানো হয়েছে।
জেএন/এফও/পিআর/এমআর