উন্নয়ন না দেখে আওয়ামী লীগের সামালোচনাকারীরা চোখ থাকতে অন্ধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশসহ উন্নয়নের সব সুবিধা ভোগ করার পরও কেউ উন্নয়ন চোখে না দেখলে কিছুই বলার নেই। যারা উন্নয়ন না দেখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে, তারা চোখ থাকতেও অন্ধ।
যাদের নেতা-ই খুন, মানি লন্ডারিং, অবৈধ সম্পদের মামলার আসামি, তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না। খুনিদের লালন পালন করাই বিএনপি’র চরিত্র।
শুক্রবার (১১ নভেম্বর) যুবলীগ প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের মহাসমাবেশে ভাষণে তিনি এসব কথা বলেন।
মহাসমাবেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশে ইনশাআল্লাহ কোনো দুর্ভিক্ষ হবে না। সবাই নিজের গ্রামে যান। কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন। নিজের এবং অন্যের কোনো জমি যেন অনাবাদি না থাকে সে ব্যবস্থা প্রত্যেক যুবলীগ কর্মীকে করতে হবে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘যাদের নেতৃত্বে আজ বিএনপি চলে তারা কারা? খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন। একটি টাকাও এতিমরা পায়নি। এক পয়সা না দিয়ে সমস্ত টাকা তারা মেরে খেয়েছে। সে কারণে খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা হয়েছে।
তারপর যাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সে তো আরও এক ধাপ এগিয়ে। মানি লন্ডারিং মামলায় তারেক জিয়ার ৭ বছরের সাজা হয়েছে। এছাড়া গ্রেনেড হামলা মামলায় তিনি যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। যাদের নেতাই খুনি-আসামি তাদের মুখে আওয়ামী লীগের সমালোচনা মানায় না। ’
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘এইট পাস দিয়ে, মেট্রিক ফেল দিয়ে দেশ চললে উন্নয়ন হয় না। আমরা ক্ষমতায় আসার আগে সরকারে ছিল বিএনপি। ২ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল বিএনপির সময়। আমরা ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত নিয়েছিলাম।
কোভিড টিকা কিনেছি, বিনিয়োগ করেছি, বিমান কিনেছি, পায়রা বন্দর নিজস্ব অর্থায়নে করেছি। এভাবে রিজার্ভ থেকে খরচ হয়েছে। ঘরের টাকা ঘরে থাকছে। দেশের জনগণের উন্নয়নে এই টাকা ব্যবহার করছি। আমাদের এই অগ্রযাত্রা কেউ রুখতে পারবে না। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন যুবসমাজ গড়ে তুলতে চাই। বেকার যুবক-তরুণদের নানাভাবে কাজ করার সুযোগ দিচ্ছি।
পদ্মা সেতু নিয়ে যখন ওয়ার্ল্ড ব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল তখন চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। পরে সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। অথচ কানাডার ফেডারেল কোর্ট রায় দিয়েছে, বিএনপি একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। ’
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘বিএনপি কখনও কল্পনাও করতে পারেনি বাংলাদেশের নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হবে। আজকে অনলাইনে কেনাকাটা হচ্ছে, ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিয়েছি। ’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যুবলীগ আমাদের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে অবস্থান আছে (অংশ নিয়েছে)। যুবক থাকলে কাজ করার অনেক সুবিধা। উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে যুবদের সম্পৃক্ত করতে যুবলীগ গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তরুণরাই পারে দেশকে গড়ে তুলতে। ’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবরের দেশে কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। এ জন্য আমরা গৃহহীন মানুষকে ঘর করে দিয়েছি। একসঙ্গে একশ’ ব্রিজ উদ্বোধন করেছি। এটা কেউ করতে পেরেছে কি না জানি না। ’
জেএন/পিআর