বান্দরবারের তামব্রু সীমান্তে চোরাচালানিদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। সংঘর্ষের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করা হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার মিরপুরে ফায়ার সার্ভিসের এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিজিএফআই কর্মকর্তা নিহতের ঘটনাটি তদন্ত চলছে। তারকর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় কারা জড়িত এবং কীভাবে ঘটনাটি ঘটল, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তে ‘রোহিঙ্গা মাদক কারবারিরা’ বাংলাদেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি করেছিল বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় তুমব্রু শূন্যরেখা এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে যায় র্যাব ও ডিজিএফআই। ওই সময় চোরাচালানিদের গুলিতে ডিজিএফআই’র এক কর্মকর্তা নিহত ও র্যাবের এক কর্মকর্তা আহত হন। আহত র্যাব কর্মকর্তাকে ঢাকায় এনে ভর্তি করা হয়েছে।
দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের অনুষ্ঠান শেষে বেরোনোর সময় এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযানের ওই জায়গাটি নোম্যান্সল্যান্ড। সেখানে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অবস্থান আছে বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়েছিল।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যখন এ ধরনের অভিযানে যাওয়া হয় তখন গোয়েন্দা সংস্থার পরিকল্পনামাফিক অভিযান হয়ে থাকে। দুর্ঘটনাবশত একজন অফিসার সেখানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন। তিনি কীভাবে গুলিবিদ্ধ হলেন এবং কোন মাদক কারবারিরা গুলি করেছে এসব বিষয়সহ সবগুলো বিষয় নিয়ে আমরা কাজ করছি। এ ঘটনার সত্য উদঘাটন করে আমরা জানাব।
জেএন/এমআর