বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রায় ৯৮৩ দশমিক ৮২ কোটি টাকার রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ পেয়েছে চায়না কমিউনিকেশনস কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
আজ অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি’র চলতি বছরের ৩৪তম সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে বলেন, আজকের বৈঠকে মোট ৮টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সিসিজিপি সভায় বন্দর নগরীতে দেশের প্রথম এই টানেলের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে চীনা কোম্পানিটিকে নিয়োগ দিতে সেতু বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ প্রস্তাব পেশ করলে, তার অনুমোদন দেয়া হয়।
মাহবুব বলেন, প্রস্তাবটির আওতায়, কোম্পানিটিকে প্রায় ৬৫ শতাংশ অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে-যার পরিমাণ প্রায় ৬৫৬ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ৩৫ শতাংশ অর্থ বিদেশী মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে-যার পরিমাণ প্রায় ৩২৬ দশমিক ৮৪ কোটি টাকা।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবটির আওতায়, মার্কিন ডলারে বৈদেশিক মুদ্রার অংশটি পরিশোধ করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বলেন, সিসিজিপি’র আজকের সভায় ১ দশমিক ৮০ লাখ মেট্রিক টন সার ও ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফোরিক এসিড সংগ্রহের পৃথক দুটি প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়।
তিনি বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (বিসিআইসি) মেসার্স সান ইন্টারন্যাশনাল এফজেডই, ইউএই (স্থানীয় এজেন্ট: মেসার্স আরকে এন্টারপ্রাইজ, ঢাকা)’র কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফসফোরাস ক্রয় করবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২১৫ দশমিক ১৫ কোটি টাকা।
মাহবুব বলেন, বিসিআইসি ৫ম লটের আওতায় ফার্টিগ্লোব ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেড, ইউএই’র কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন গুটি ইউরিয়া সার কিনবে। এতে খরচ হবে প্রায় ১৮৯ দশমিক ২৮ কোটি টাকা।
পাশাপাশি, বিসিআইসি ১৩তম লটের আওতায় সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিন্টস কোম্পানির কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন গুটি ইউরিয়া সার ক্রয় করবে। এতে খরচ হবে প্রায় ১৮৯ দশমিক ২৮ কোটি টাকা। এতে প্রতি টন সারের খরচ পড়বে ৫৯৪ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার, যেখানে আগে প্রতি টনে খরচ পড়েছিল ৬২৫ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার।
এছাড়াও রাষ্ট্র-পরিচালিত এই কর্পোরেশন সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানির কাছ থেকে আরো ৩০ হাজার মেট্রিক টন গুটি ইউরিয়া সার ক্রয় করবে। এতে খবর পড়বে প্রায় ১৮৯ দশিমিক ২৮ কোটি টাকা। এতে প্রতি টন সারের মূল্য পড়বে ৫৯৪ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার। আগে এই সারের জন্য খরচ পড়েছিল টনপ্রতি ৬২৫ দশমিক ৮৩ মার্কিন ডলার।
মাহবুব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয়াধীন বাংলাদেশ এগ্রিকালচাল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (বিএডিসি) কানাডার একটি কোম্পানীর কাছ থেকে প্রায় ৪১৬ দশমিক ৫৪ কোটি টাকা মূল্যের ৫০ হাজার মেট্রিকটন এমওপি সার ক্রয় করবে। এতে প্রতি টন সারের খরচ পড়বে ৭৮৮ মার্কিন ডলার। আগে এই সারের জন্য প্রতি টনের খরচ পড়েছিল ৮২১ মার্কিন ডলার।
এছাড়াও, এছাড়াও বিএডিসি সৌদির একটি কোম্পানির কাছ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিকটন ডিএপি সার ক্রয় করবে। এতে খবর পড়বে প্রায় ৩০৮ দশমিক ৭৮ কোটি টাকা।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)’র একটি প্রস্তাবের ভিত্তিতে ‘বিদ্যুৎ বিতরণ পদ্ধতির উন্নয়ন: ময়মনসিংহ অঞ্চল’ এর জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় জিডি-১: লট ৫ প্যাকেজটি আইডিয়াল ইলেক্ট্রিক্যাল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেড, বাংলাদেশকে দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১০২ দশমিক ৬২ কোটি টাকা।
জেএন/এমআর