ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় একটি শরণার্থী শিবিরের ভবনে আগুন লেগে ১০ শিশুসহ অন্তত ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) রাতের এ দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। খবর বিবিসির।
প্রতিবেদনে সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ঘনবসতিপূর্ণ জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে একটি আবাসিক ভবনে আগুন লেগে অন্তত ২১ জন নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। এরই মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গ্যাস লিকেজের মাধ্যমে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়েছে বলে দেশটির এক নিরাপত্তা কর্মী বিবিসিকে জানিয়েছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পাশে থাকা ইন্দোনেশিয়া হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. আবু লায়লা অগ্নিকাণ্ডকে বিশাল হিসেবে বর্ণনা করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, পুরো বিল্ডিংটি আগুনে পুড়ে গেছে।
আল-জাজিরা বলছে, অগ্নিকাণ্ডের পরই ঘটনাস্থলে কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বলেন্সের মাধ্যমে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসার প্রয়োজনে আহতদের নিজ দেশে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে মিশর।
গাজার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওই স্থানে প্রচুর পরিমাণে পেট্রোল মজুত করা হয়েছিল। এর ফলে আগুনকে দ্রুত ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় মোট আটটি শরণার্থী শিবিরের একটি জাবালিয়া। ওই আটটি শরণার্থী শিবিরে প্রায় ৬ লাখ লোকের বাস। গাজার মোট বাসিন্দা ২৩ লাখ।
শরণার্থী শিবিরে আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে যাওয়া স্থানীয় এক বাসিন্দা বিবিসিকে জানান, জেনারেটর চালানোর জন্য ওই ভবনে গ্যাস রাখা ছিল।
আরও এক প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, ‘খুবই করুণ এক পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করেছি আমি। শিশু ও নারীদের আগুনে পুড়তে দেখেছি কিন্তু তাদের কেউ বাঁচাতে যাচ্ছে না। ’
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজায় ওই শরণার্থী শিবিরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে জাতীয় শোক বর্ণনা করে শুক্রবার একদিনের শোক ঘোষণা করেছেন।
এক টুইট বার্তায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গেন্টেজ বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা দগ্ধদের (ইসরায়েলের) হাসপাতালে পাঠাতে সহায়তা করবে।
জেএন/পিআর