বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক প্রাইমারীর ছাত্রী হিসেবে খ্যাতি পাওয়া প্রিসিলা সিতিয়েনি আর বেঁচে নেই। বুধবার (১৬ নভেম্বর) নিজ বাড়িতে ৯৯ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
নিহতের নাতি স্যামি চেপসিরর ব্রিটিস সংবাদ সংস্থা বিবিসিকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বলেন, গোগো (স্থানীয় ভাষায় দাদি) প্রিসিলা বুকের ব্যথাজনিত জটিলতায় মারা যান।
গোগো সুস্থ ছিলেন এবং মৃত্যুর তিন দিন আগ পর্যন্ত ক্লাস করেছেন। আগামী সপ্তাহে ফাইনাল পরীক্ষায় বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বুকের ব্যথার কারণে তিনি আর স্কুলে যেতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, আমরা তার শতায়ু জীবনের জন্য কৃতজ্ঞ। তিনি আমাদের সবাইকে গর্বিত করেছেন।
ইউনেস্কোর মতে, প্রিসিলা সিতিয়েনি ৯৪ বছর বয়সে স্থানীয় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে রাজি করিয়ে স্কুলে ভর্তি হন। এই বয়সে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির কারণে তিনি তার সম্প্রদায় ও এর বাইরে রোল মডেল হিসেবে প্রশংসিত হন।
গত বছর এক সাক্ষাৎকারে প্রিসিলা সিতিয়েনি বলেন, কেনিয়ার অল্পবয়সী মেয়েরা সন্তান হওয়ার পর লোকলজ্জার ভয়ে লেখাপড়া বন্ধ করে দেয়। সেই সব অল্প বয়সী মায়েদের আবারও স্কুলে ফিরে যেতে উদ্বুদ্ধ করাই ছিল তার উদ্দেশ্য।
তিনি আরও বলেন, যে সব শিশুদের বাবা নেই, যারা উদ্দেশ্যহীনভাবে এখানে সেখানে ঘুরে বেড়ায় এবং যে শিশুরা সবই হারিয়েছে তাদের স্কুলে নিয়ে যেতে উদ্বুদ্ধ করাই আমার কাজ।
প্রিসিলার মতে, যারা পড়ালেখা শেখে না তাদের ও মুরগির বাচ্চার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।
জেএন/পিআর