আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, পদ্মা সেতু-বঙ্গবন্ধু টানেল হতে পারে তবে কালুরঘাটে সেতু হবে না কেন ? আমি সত্বর কালুরঘাট সেতুর কাজ শুরু করার দাবি জানাচ্ছি। এটি প্রয়াত সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদলের শেষ ইচ্ছা। সেতুটি হলে বাদলের আত্মা শান্তি পাবে।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে বোয়ালখালী পৌর সদরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত সাংসদ মঈন উদ্দিন খান বাদলের স্মরণ সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সাংসদ বাদলের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ৭০ সাল থেকে ৭বার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। সাংসদ বাদলের মতো তুখোড় যুক্তিসহকারে সারগর্ভ বক্তব্য খুব কমই শুনেছি। সাংসদ বাদল ইংরেজী ও বাংলায় সমান তালে বলতে পারতেন। তিনি দেশের মঙ্গলের জন্য বলতেন, সরকার ভুল করলে তাও বলতেন। তার বক্তব্য প্রধানমন্ত্রীসহ সবাই শুনতেন।
মোশারফ হোসেন এমপি আরো বলেন, বাদল তার মৃত্যুর কয়েকদিন পূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একান্তে কালুরঘাট সেতুর কথা বলেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমার সামনেই বাদলকে কথা দিয়েছিলেন সেতুটি তিনি করবেন। আগামী ৪ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামে আসবেন। সেখানে আমরা আবারো প্রধানমন্ত্রীকে কালুরঘাট সেতুর দাবি জানাবো।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদ আয়োজিত এ স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম নুরুল ইসলাম। উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. সেলিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় প্রধানবক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এসএম আবুল কালাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মহিউদ্দিন আহম্মদ রাশেদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের প্রফেসর ড.কাজী খসরুল আলম কুদ্দুসী, প্রয়াত সায়সদ বাদলের সহধর্মিনী সেলিনা বাদল, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আবদুল কাদের সুজন, সাবেক কাউন্সিলর কপিল উদ্দিন।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা রেজাউল করিম রাজা, এমএস আলম, যুবলীগ নেতা প্রসাদ দাশ বাবু, উপজেলা জাসদ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক, ছাত্রলীগ নেতা খালেদ মাসুদ ও কিষাণ চৌধুরী পলাশ।
জেএন/এমআর