বিশ্বকাপ শুরুর আগে সবাই যেভাবে ভেবেছিল বেলজিয়াম এবার গতবারের থেকেও ভালো কিছু করবে তাদের সে আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে কানাডার বিপক্ষে বেলজিয়ামের পারফরম্যান্সে।
দীর্ঘদিন পর বিশ্বকাপ খেলতে আসা কানাডা বেশ ভালোই ভুগিয়েছে রবার্তো মার্তিনেজের দলকে৷ প্রথমার্ধে দেয়া বাতশুয়াইর একমাত্র গোলেই কষ্টার্জিত জয় পায় বেলজিয়াম।
অথচ পুরো ম্যাচেই ছিল কানাডিয়ানদের দাপট। আক্রমণভাগে যোগ্য একজন ফুটবলার থাকলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো তাদের৷ ম্যাচের ৮ মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ পায় কানাডা।
বেলজিয়াম ডিবক্সের ভেতর কারাসকোর হাতে বল লাগলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। কিন্তু পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন কানাডার বায়ার্ন মিউনিখের তারকা আলফোনসো ডেভিস।
কুর্তোয়া ডান পাশে ঝাপিয়ে পড়ে ডেভিসের মাটি কামড়ানো শট রুখে দেন। রিবাউন্ডেও বল গোলবারের বাইরে মারেন লারিয়া।
ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় বল নিজেদের দখলে রাখে কানাডা। বল পজিশনে কানাডা পিছিয়ে থাকলেও গোলমুখে ৬টি শটের ভেতর ২টিই ছিল অন টার্গেটে। পক্ষান্তরে বেলজিয়াম মাত্র ২টি শট নিতে পেরেছে গোলমুখে।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে বেলজিয়ামের পেনাল্টি বক্সের ভেতর লারিয়া পড়ে গেলে রেফারি পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেননি। এর ঠিক ৪ মিনিট পরে অল্ডারউয়েরেল্ডের বাড়ানো বলে বাতশুয়াইর অন টাচ শট দেখা পায় জালের ঠিকানা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় বেলজিয়াম।
দ্বিতীয়ার্ধেও বেলজিয়ামের উপর দাপট দেখাতে থাকে কানাডা। ৪৯ মিনিটে ডেভিডের হেড একটুর জন্য গোলবারের বাইরে চলে যায়। ৬৯ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বেলজিয়াম। ডিবক্সের ভেতর বাতশুয়াইর শট ব্লক করে দেন লারিয়া।
ম্যাচের ৮১ মিনিটে গোলের আবারো সুযোগ পেয়েছিল কানাডা। কিন্তু ডেভিডের কিরা হেড দুর্দান্তভাবে ঝাপিয়ে রুখে দেন কুর্তোয়া। ম্যাচে ৩২ টা গোলের চেষ্টা করেও গোল করতে ব্যর্থ হয় কানাডা।
অন্যদিকে মাত্র ৯ টা শট নিতে পারে বেলজিয়াম। কষ্টার্জিত এই জয়ে গ্রুপের শীর্ষে উঠে আসলো বেলজিয়াম।
জেএন/এমআর