প্রথমার্ধ গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধের ৮১ মিনিটে কোস্টারিকার হয়ে চমক দেখালেন কেইসার ফুলের। রোববার তার করা একমাত্র গোলে জাপানকে হারিয়ে ‘ডি’ গ্রুপের লড়াই জমিয়ে তুলেছে কোস্টারিকা (১-০)।
‘ডি’ গ্রুপ মৃত্যুকূপ খ্যাত। জাপান-কোস্টারিকা ছাড়াও আছে সাবেক দুই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি ও স্পেন। প্রথম ম্যাচ হেরে যাওয়া জার্মানির পয়েন্ট শূন্য। বাকি তিন দলের পয়েন্টই এখন তিন।
প্রথম ম্যাচে এই কোস্টারিকাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল স্পেন। অন্যদিকে জার্মানিকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমক দেখায় জাপান। আজ সেই জাপানকে হারিয়ে লড়াইয়ে ফিরল কোস্টারিকা।
জাপান-কোস্টারিকা দুটি ম্যাচ খেলেছে। আজ রাত ১টায় নিজেদের দ্বিতীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি হবে জার্মানি ও স্পেন। স্পেন, জাপান ও কোস্টারিকার পয়েন্ট সমান ৩। তবে গোল ব্যবধানের তারতম্যে সবার উপরে স্পেন। এরপর জাপান, তারপর কোস্টারিকা। আজকের রাতের ম্যাচে স্পেনকে জার্মানি হারাতে পারলে গ্রুপের চার দলেরই পয়েন্ট হবে তিন। তবে জার্মানি হারলে নক আউট পর্বে চলে যাবে স্পেন।
কাতারের আহমাদ বিন আলী স্টেডিয়ামে জাপান-কোস্টারিকার প্রথমার্ধ ম্যাচ ছিল অনেকটা পানসে। দ্বিতীয়ার্ধে বাড়ে খেলার গতি। ফিফা র্যাংঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকা জাপান তৈরি করে বেশকটি গোলের সুযোগ। কিন্তু কোন আক্রমণ পূর্ণতা পায়নি এশিয়ার দেশটির।
অন্যদিকে কোস্টারিকার রক্ষণ সামলানোর পাশাপাশি দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে দেখায় চমক। ৮১ মিনিটে নয়নকাড়া গোলে দলকে লিড এনে দেন কেইসার ফুলের। পুরো ম্যাচে চারটি শট নিয়েছিল কোস্টারিকা, এর মধ্যে একটি ছিল লক্ষ্যে, সেটিতেই গোল।
অন্যদিকে ১৩ শটের মধ্যে তিনটি লক্ষ্যে রাখতে পারলেও হতাশ জাপান শিবির। জাপান ৫টি কর্ণার আদায় করতে পারলেও কোস্টারিকা পায়নি একটিও। আগামী ১ ডিসেম্বর ডি গ্রুপের শেষ ম্যাচে কোস্টারিকা মুখোমুখি হবে জার্মানির। জাপান খেলবে স্পেনের বিরুদ্ধে।
জেএন/এমআর