মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় এবার চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডে একবিষয়ে ফেল করেছে ১৪ হাজার ১৯৪ জন পরীক্ষার্থী। তার মধ্যে ইংরেজীতে বিষয়ে ফেলের সংখ্যা প্রায় অর্ধেকেরও বেশি।
রোববার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ইংরেজি দ্বিতীয় পত্র ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে ফেলের হার এক শতাংশেরও কম। ৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী ইংরেজি দ্বিতীয় পত্রে ফেল করেছে। এজন্য গত বছরের চেয়ে আমাদের পাসের হার কিছুটা কমেছে।
এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, স্কুলে পর্যাপ্ত সংখ্যক বিষয়টির শিক্ষক নেই। অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা গিয়ে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান করেন। স্কুলে ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগ করে মানসম্মত পাঠদানের বিকল্প নেই।
এদিকে চট্টগ্রাম বোর্ডে পাসের হার ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৩ দশমিক ৫৯ শতাংশ কম।
পাশের হার কমার বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, ২০২১ সালে পরীক্ষা হয়েছিল শুধুমাত্র তিনটি বিষয়ে। জেএসসির বিষয়ভিত্তিক ফলাফলের মাধ্যমে নম্বর ও পাস-ফেল নির্ধারণ করা হয়েছিল। এজন্য যারা জেএসসিতে পাস করেছিল, পরীক্ষা ছাড়াই তারা এসএসসিতেও পাস করে। এজন্য পাসের হারে রেকর্ড ছিল। এবার সিলেবাস সংক্ষিপ্ত হলেও সব বিষয়ে পরীক্ষা হয়েছে। পাসের হার কিছুটা কমে যাবার ক্ষেত্রে এটার প্রভাবও আছে।
এবার পাসের দিক থেকে এগিয়ে বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থীরা। বিজ্ঞানে ৯৬ দশমিক ৮১ শতাংশ, ব্যবসায় শিক্ষা ৯১ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং মানবিকে পাসের হার ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। গতবছরের তুলনায় মানবিকে পাসের হার এবার কমেছে ১৯ শতাংশ। বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষায় পাসের হার গতবছরের মতোই। বিজ্ঞানে গতবছর ছিল ৯৬ দশমিক ৮২ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৯১ দশমিক ৩০ শতাংশ।
জেএন/হিমেল/এমআর