চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক মাইদুল ইসলাম কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। এর আগে একমাস ছয়দিন তিনি ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কটূক্তির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় জেল খেটেছেন। গত ৯ অক্টোবর উচ্চ আদালত এ মামলায় তাকে ছয় মাসের জামিন দেন।
সোমবার (২৯ অক্টোবর) রাতে হাইকোর্টের জামিন আদেশটি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে পৌঁছালে যাচাই-বাছাই শেষে মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সকালে মাইদুল ইসলামকে জামিনে মুক্তি দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জয়নিউজকে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে জামিনের আদেশ পেয়ে চবি শিক্ষক মাইদুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করার অভিযোগ এনে ২৩ জুলাই চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ইফতেখার উদ্দিন আয়াজ বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের হওয়ার পর উচ্চ আদালত থেকে আট সপ্তাহের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন মাইদুল। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে ২৪ সেপ্টেম্বর তিনি চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মো. ইসমাইল হোসেনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২৫ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত ১৭ জুলাই সমাজতত্ত্ব বিভাগের মাইদুল ইসলাম এবং যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খ. আলী আর রাজীর বিরুদ্ধে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেন চবি ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপু। স্মারকলিপিতে প্রধামনন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তির অভিযোগে মাইদুলকে এবং কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন চলাকালে চবিকে লণ্ডভণ্ড করে দেওয়ার উস্কানির অভিযোগে খ. আলী আর রাজীকে চাকরিচ্যুত করার দাবি জানানো হয়।
জয়নিউজ/অভি/শহীদ