সেলিম উদ্দিন : আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত চট্টগ্রামবাসী। দীর্ঘ ১০ বছর পর আগামীকাল রবিবার (৪ ডিসেম্বর) তিনি চট্টগ্রামে আসছেন।
সকালে প্রধানমন্ত্রী ভাটিয়ারিতে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে সামরিক বাহিনীর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখান থেকে দুপুরে হেলিকপ্টারে চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে আসবেন। স্টেডিয়াম থেকে গাড়িতে করে প্রধানমন্ত্রী পলোগ্রাউন্ডে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম সফরে ৩০টি প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ৪টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করার কথা রয়েছে। এজন্য জনসভার মঞ্চের পাশে ভিত্তিফলকগুলো স্থাপন করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সর্বশেষ চট্টগ্রামে জনসভায় এসেছিলেন ২০১২ সালের ২৮ মার্চ। সেদিন তিনি পলোগ্রাউন্ডে ১৪ দলের মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি ১০ বছর ৯ মাস পর একই মাঠে আবার ভাষণ দেবেন।
২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামে জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামবাসীকে বেশ কিছু উন্নয়ন প্রকল্প উপহার দেবেন। অবশ্য প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে উৎসবের শহরে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম। শহরের অলিগলি থেকে গ্রামের রাস্তাঘাটে চলছে মাইকিং। ছেঁয়ে গেছে ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড আর তোরণে। শহরের বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তা-ঘাট সাজানো হয়েছে নানা রঙে।
প্রধানমন্ত্রী আগমনকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছেন চট্টগ্রামবাসী। কালুরঘাট সেত নির্মাণ, চট্টগ্রাম কক্সবাজার সড়ক চার লাইনে উন্নীতকরণসহ নানা দাবি থাকবে চট্টগ্রামবাসীর। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে চট্টগ্রামবাসীর মনে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে।
দেশে উন্নয়ন ও দিন বদলের নেতৃত্ব দেওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বরণ করতে এবং তাঁর মুখে আগামীর বার্তা শুনতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মানুষ।
প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশের জন্য পলোগ্রাউন্ডে নৌকা আকৃতির প্রায় সাড়ে ৩ হাজার বর্গফুটবিশিষ্ট মঞ্চটিতে বসতে পারবেন প্রায় ২০০ জন নেতা।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে বসবেন কারা সেটি চূড়ান্ত করবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত এসএসএফ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ।
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী জানান, অতীতে চট্টগ্রামের সব জনসভার রেকর্ড ছাপিয়ে পলোগ্রাউন্ডে আগামী ৪ ডিসেম্বরের জনসভা ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
কারণ প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে একের পর এক মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন। তাই চট্টগ্রামবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে একটি ঐতিহাসিক জনসভা উপহার দেবেন।
নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, পলোগ্রাউন্ড ময়দানে আমরা সবাইকে জায়গা দিতে পারব না। বিষয়টি মাথায় রেখে আমরা চট্টগ্রাম শহরজুড়ে মাইকের ব্যবস্থা করেছি। জনসভাস্থলের আশপাশে এলএইডি টিভি লাগানো হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রাম সফর সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে সম্পাদনের জন্য যানবাহন চলাচলে বেশ কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিএমপি জানিয়েছে, ৪ ডিসেম্বর সকাল ৮টা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সফর শেষ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও বন্ধ রাখা হবে।
এছাড়া ওইদিন সকাল আটটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত আন্তঃজেলা যাত্রীবাহী এসি ও নন-এসি বাস মহানগরে প্রবেশ করতে পারবে না।
জেএন/এফও/পিআর