আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড ময়দান এখন লোকে-লোকারণ্য। বেলা ৩টা পর জনসভাস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম স্লোগান’ ওঠে জনসভাস্থলে। ‘বিশ্ব নেত্রীর আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’, ‘শেখ হাসিনা’, ‘শেখ হাসিনা’ স্লোগান চলতে থাকলে হাত নাড়িয়ে অভিবাদন জানান তিনি।
পরে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ৪টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পলোগ্রাউন্ড মাঠে বোববার বেলা ৩টায় জনসভা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এর অনেক আগেই জনসমুদ্রে পরিণত হয় জনসভা স্থল।
সকাল থেকেই আশপাশের উপজেলা থেকে ঢাক-ঢোল বাজিয়ে জনসভায় আসতে শুরু করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। শেখ হাসিনার আগমনী বার্তায় রাজপথ ভরে ওঠে। নেতাকর্মীদের মুহুর্মুহু স্লোগানে প্রকম্পিত হয় পুরো এলাকা। তীব্র রোদ উপেক্ষা করে বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেন জনসভায় যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার মধ্যেই জনসভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়।
এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভার কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই শুরু হয়।
প্রায় ১০ বছর পর চট্টগ্রামে এসেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এই আগমনকে বরণ করে নিতে সাজ সাজ রব উঠেছে চট্টগ্রামে। মোড়ে মোড়ে ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। পাশাপাশি বড় বড় বিলবোর্ড আর তোরণে শোভা পাচ্ছে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের চিত্র।
বর্তমান সরকারের শেষ মুহূর্তের প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে চট্টগ্রামবাসীকে ৩৪টি উন্নয়ন প্রকল্প উপহার দেবেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে ৪টি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনযোগ্য প্রকল্প, ৩০টি উদ্বোধনযোগ্য প্রকল্প।
প্রায় ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রামের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ও ব্যয়বহুল ৮০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৩২ ফুট প্রস্থের নৌকা আকৃতির মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশে ৩টি প্রবেশপথ রাখা হয়েছে। জনসভার প্রস্তুতি হিসেবে দিনব্যাপী মাইকিং করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে পারে এজন্য ২০ লাখ টাকা ব্যয়ে ৩০০ মাইক লাগানো হয়। কয়েকটি স্থানে রয়েছে মনিটর। ডেকোরেশন বাবদ খরচ হয় আরো ২০ লাখ টাকা, নগরে প্রায় ৬০ হাজার গেঞ্জি বিতরণ করা হয়। নেতাকর্মীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ি ও খাবারের ব্যবস্থা করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনের উৎসবে পিছিয়ে নেই আগামী সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও। সড়কের মোড়ে মোড়ে এমপি হিসেবে দেখতে চাই লেখা তোরণ ও বিলবোর্ডও চোখে পড়ার মতো।
এদিকে বুধবার সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল আসতে শুরু করে জনসভা স্থলে। ‘শেখ হাসিনার আগমন, শুভেচ্ছা স্বাগতম’ স্লোগানে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জনসভায় যোগ দিতে আসেন দলটির নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর এই আগমনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রামে ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জমায়েত করার লক্ষ্য নিয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ।
জেএন/এফও/এমআর