বাংলাদেশ নৌবাহিনী (বিএন) কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাতিল (১৯) ছুরিকাঘাতে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন সোয়াইব হোসেইন (১৮) ও রুপম দত্ত (১৮) নামে আরও দুইজন।
জানা গেছে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টে এ ঘটনা ঘটে। রাত সাড়ে ৯টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাতিলকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আহত শোয়েব হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ইনস্পেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতের বুকে ও বাম পায়ের রানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।
নিহতের বাবা মনিরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, আমার ছেলে আনুমানিক ৮টার দিকে ডিআইটি প্রজেক্ট এর ১৩ নম্বর রোডে সোয়াইব ও রুপমসহ তিনজন মিলে আড্ডা দিচ্ছিলেন। হঠাৎ রকিসহ ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, তারা আমার ছেলেকে কী কারণে কুপিয়ে হত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছু বলতে পারি না।
নিহত শাতিলের মা আফরোজা বেগম বলেন, আমার ছেলে বাহির থেকে বাসায় এসে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য গোসল করে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা চলছিল।
খেলা দেখার সময় রুপম ও রকি বারবার তাকে ফোন দিয়ে বাহিরে যাওয়ার জন্য বলছিল। বাসায় খাওয়া-দাওয়া করে দ্রুত বের হয়ে যায় সে। এরপর খবর পেলাম আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে ডেকে নিয়ে তারা হত্যা করেছে এই হত্যার বিচার চাই। আমার ছেলে যদি বাহিরে না যেত, তাহলে আমার ছেলে আজকে নিথর দেহ পড়ে থাকত না।
আফরোজা বেগম জানান, তারা বাড্ডার মেরুল বাড্ডা ১১ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসায় থাকেন। তাদের বাড়ি ঢাকার দোহারের জয়পাড়া এলাকায়। তাদের এক ছেলে এক মেয়ে। সাতিল ছিল সবার মধ্যে বড়।
এ বিষয়ে বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঢাকা মেডিকেলে এসেছি এবং একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে বিষয়টি আমরা এখনো পুরোপুরি জানতে পারিনি। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
জেএন/পিআর