একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে। আগামী ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত তিন ধাপে হবে আবেদন গ্রহণ। ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে ভর্তি। এরপর ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে।
ভর্তির জন্য এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানে সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং নন-এমপিওতে সর্বোচ্চ সাড়ে ৮ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অনলাইন আবেদন ফি ১৫০ টাকা। সর্বোচ্চ ১০টি ও সর্বনিম্ন ৫টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে পারবে। সুযোগপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ে ভর্তির জন্য ৩২৮ টাকা দিয়ে নিশ্চয়ন করতে হবে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার স্বাক্ষরিত ভর্তি সংক্রান্ত এ নীতিমালা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, যারা পুনঃনিরীক্ষণের জন্য আবদেন করেছে তাদেরও এ সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। পুনঃনিরীক্ষণে ফলাফল কারও পরিবর্তন হলে সে আগের আবেদন বাতিল করে ২৬ ডিসেম্বর ফের অনলাইন আবেদন করতে পারবে।
একই দিনে প্রথম ধাপের আবেদনকারীরা পছন্দক্রম পরিবর্তনের সুযোগ পাবে। ৩১ ডিসেম্বর এ ধাপের মেধা তালিকা বা ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ১ জানুয়ারি থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিশ্চয়ন করা যাবে। যারা নিশ্চয়ন করবে না তাদের আবেদন বাতিল হবে।
দ্বিতীয় ধাপের আবেদন ৯ থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। এ ধাপের ফলাফল ১২ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে। নিশ্চয়ন চলবে ১৩ থেকে ১৪ জানুয়ারি। তৃতীয় ধাপের আবেদন ১৬ জানুয়ারি ও ফলাফল প্রকাশ ১৮ জানুয়ারি।
এ ধাপের নিশ্চয়ন ১৯ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। যারা ভর্তির জন্য নির্বাচিত হবে তাদের ২২ থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে ভর্তি হতে হবে। ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে।
২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে দেশের যে কোনো শিক্ষাবোর্ড এবং উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি বা সমমান পরীক্ষা পাস করা শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্যান্য বছরে পাশ করা শিক্ষার্থীরাও ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কোনো বোর্ড বা প্রতিষ্ঠান থেকে সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা সনদের মান নির্ধারণের পর ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে।
টেলিটকের ওয়েবসাইটে www.xiclassadmission.gov.bd গিয়ে আবেদন করতে হবে।
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাকি ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে।
বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা যেকোনো (বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায়) গ্রুপে ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। মানবিক গ্রুপ থেকে মানবিক ও ব্যবসায় আবেদন করা যাবে।
ব্যবসায় বিভাগ থেকেও এই দুই গ্রুপের একটিতে আবেদন করতে পারবে। মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর হবে।
জেএন/পিআর