বিরোধীতার মুখে অল্প সময় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকা পেরুর বামপন্থি নেতা পেদ্রো ক্যাসটিলোকে অভিশংসনের কয়েক ঘণ্টা পর আইনসভার ভোটে দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দিনা বলুআর্তে।
বুধবার বিকেলে বিরোধীদের নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস কোনো রকম বিরোধীতা ছাড়াই ক্যাসটিলোকে সরিয়ে দেয়ার পক্ষে ভোট দেয়। এর একদিন আগে অবশ্য ক্যাসটিলো ঘোষণা দিয়েছিলেন যে আইনসভা সাময়িকভাবে বিলুপ্ত করা হবে এবং ডিক্রি জারির মাধ্যমে দেশটি শাসন করবেন তিনি।
দেশে আইনের শাসন পুনপ্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রের স্বার্থে এই উদ্যোগ নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্যাসটিলো, তবে তার এই উদ্যোগের বিরোধীতা করেছিল বিরোধী দলসহ ও অন্যান্যরা। এমনকি তার ভাইস প্রেসিডেন্ট দিনা বলুআর্তেও এই উদ্যোগকে অভ্যুত্থান হিসেবে উল্লেখ করে বিরোধীতা করেছিলেন।
অভিশংসন ভোটের পর কংগ্রেস বলুআর্তেকে ক্ষমতা গ্রহণের আহ্বান জানায় এবং বুধবার বিকেলে শপথ নেয়ার মাধ্যমে তিনি দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির প্রথম নারী নেতা হিসেবে আবির্ভূত হন। দিনা বলুআর্তে ২০২৬ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
শপথ নেয়ার পর দিনা বলুআর্তে দেশের সঙ্কট কাটাতে রাজনৈতিক রণাবসানের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন সকল দলের অংশগ্রহণে সরকার গঠন করবেন তিনি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশকে সঙ্কট থেকে বের করে নিয়ে আসতে আমি সবার কাছে সময় প্রার্থনা করছি।’
এদিকে রাজধানী লিমায় ক্যাসটিলোর পক্ষে ও বিপক্ষে জড়ো হওয়া হাজারো সমর্থকদের প্রতিবাদ ও উদযাপনকে নিবৃত্ত করতে পুলিশ প্রেসিডেন্সিয়াল ও কংগ্রেশনাল প্যালেসগুলোতে প্রবেশের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এ সময় কংগ্রেস বিলুপ্ত করার পক্ষে জড়ো হওয়া শতশত ক্যাসটিলো সমর্থকদের বিরুদ্ধে দেয়াল হিসেবে কাজ করে সশস্ত্র পুলিশ।
অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে ক্যাসটিলো বিরোধী সমর্থকদের নেচে গেয়ে আনন্দ করতে দেখা যায়।
তবে রাত ১০টা থেকে সান্ধ্যআইন জারির ঘোষণা দেওয়া হলেও পরে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
রাজনৈতিক উত্থান-পতনের ভেতর দিয়ে গত কয়েকটি বছর কেটেছে পেরুর। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। আর এর ফলে অভিশংসনের উদ্যোগ ও প্রেসিডেন্টের মেয়াদ পূর্ণ না হওয়ার আগেই ক্ষমতা ছাড়ার মতো ঘটনা ঘটে দেশটিতে।
জেএন/এমআর