বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, অক্টোবর ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ১২ কোটি ৬২ লাখ। মোবাইল সিম গ্রাহক সংখ্যা ১৮ কোটি ১৬ লাখ এবং ইন্টারনেট ডেনসিটি ১০৪.১৭ ভাগ। গেল নভেম্বর পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ তথা ডাটার ব্যবহার হয়েছে ৮,৮৫৯ জিবিবিএস।
তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর হোটেল রেডিসন ব্লু চট্টগ্রাম বে ভিউ হোটেলে ‘টেলিযোগাযোগ সেবা ও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম’ বিষয়ে গণশুনানিতে তিনি এতথ্য জানান।
শুনানিতে গ্রাহকরা টেলিযোগাযোগ সেবা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে যেসব সমস্যার সুম্মধীন হয়েছেন তা তুলে ধরেন এবং কমিশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাগণ ক্রমান্বয়ে সকল প্রশ্নের উত্তর প্রদান করেন।
গণশুনানিতে অংশে নিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেছেন ৮৪৮ জন, এর মধ্যে সশরীরে ১৮২ জন, অনলাইনে ৯৪ জন এবং অন্যান্য ১৭ জন অংশ নেয়।
সভাপতির বক্তব্যে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর শিকদার বলেন, গণশুনানিতে যেসব অভিযোগ পাওয়া যায়, সেগুলো আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণে সহায়ক হয়। গণশুনানিতে অনেক অজানা প্রশ্ন উঠে আসে যা গ্রাহক জানতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়িত হয়ে গেছে। ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষমাত্রা নিয়ে বিটিআরসি কাজ করে যাচ্ছে। বিটিআরসিতে আগামীতে জন্য বিভাগে গণশুনানি আয়োজন করবে।
গণশুনানিতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যান প্রকৌঃ মোঃ মহিউদ্দিন আহমেদ। গণশুনানি সংক্রান্ত উপস্থাপনা করেন সিস্টেম এন্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহপরিচালক ব্রিঃ জেঃ মোঃ নাসিম পারভেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক বিচা: জেলা: মো: এহসানুল কবীর, লিখা এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেইন, আইটি বিশেষজ্ঞ তোহিদুল আলম চৌধুরী, কমিশনের লিগ্যাল এন্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন, স্পেকট্রাম বিভাগের কমিশনার প্রকৌশলী শেখ রিয়াজ আহমেদ, প্রশাসন বিভাগের মহাপরিচালক মো: দেলোয়ার হোসাইন, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড অপারেশন্স বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: এহসানুল কবীর লিগাল এ লাইসেন্সিং বিভাগের মহাপরিচালক আশীষ কুমার কুন্ডু, স্পেকট্রাম বিভাগের পরিচালক লেঃ কর্ণেল আউয়াল উদ্দীন আহমেদ এবং বিটিআরসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এফও/এমআর