কমলমতি শিশু-কিশোরদের নামাজের প্রতি আকৃষ্ট করতে পুরস্কার ঘোষণা দিয়েছিলেন নওগাঁর আত্রাইয়ের পাঁচুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম। সেই ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে টানা ৪০ দিন মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ে সাইকেলসহ বিভিন্ন পুরস্কার জিতে নিয়েছে ২০৮ জন কমলমতি শিশু-কিশোর।
শুক্রবার সকালে বিহারীপুর গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন স্থানে নওগাঁ জেলা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলমের উপস্থিতিতে সাইকেলগুলো দেওয়া হয়। সেই সাথে ইউনিয়নের নয় মসজিদের ইমাম-মোয়াজ্জেমকে বিচারকের দায়িত্ব পালন করায় বিশেষ উপহার দেওয়া হয়।
এসময় মাওলানা আশাদুল ইসলাম, মাওলানা আক্তারুজ্জামান ও মাওলানা মাহাফুজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, ‘এসো ভাই নামাজ পড়ি, এসো বন্ধু সমাজ গড়ি’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইউনিয়নের আট ওয়ার্ডের আট মসজিদে গত ১ অক্টোবর এ নামাজ প্রতিযোগিতা শুরু হয়। একটানা ৪০ দিন চলমান প্রতিযোগিতায় স্ব-স্ব মসজিদের ইমাম ও মোয়াজ্জেম বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন। প্রতিযোগিতায় ৩৫০ জন ৮ হতে ১৮ বছরের শিশু-কিশোররা অংশগ্রহণ করে ২০৮ জন বিজয়ী হয়।
এ বিষয়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত পাঁচুপুর গ্রামের রবিউল ইসলাম, আশিকুর রহমান, নবিউল ইসলামসহ অনেকে আনন্দের সাথে জানায়, তারা নামাজ শিক্ষার পাশাপাশি একটি করে সাইকেল পেয়েছে। এটা তাদের জীবনকে সঠিক পথ দেখানোর পাশাপাশি আদর্শবান মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করবে।
এ ব্যাপারে পাঁচুপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খবিরুল ইসলাম বলেন, আগামী প্রজন্মকে নেশামুক্ত ধর্মজ্ঞানসম্পন্ন বিবেকবান আদর্শ মানুষ, ইসলাম ধর্ম সঠিকভাবে জানা ও বোঝা এবং আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তোলার লক্ষে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়।
জেএন/এমআর