সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের কারণে বান্দরবানে রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রোববার রাতে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার শেষ দিনে ১১ দফায় বান্দরবান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপনে অনিদিষ্টকালের এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্র জানায়, বান্দরবান জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী পাহাড়ী এলাকাগুলোতে যৌথ বাহিনীর জঙ্গী ও সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে আড়ায়মাস ধরে। সাঁড়াশি অভিযানের কারণে ভ্রমণকারীদের নিরাপত্তা বিবেচনায় পর্যটকদের ভ্রমণে রুমা এবং রোয়াংছড়ি উপজেলায় প্রথম দফায় ১৮ অক্টোবর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে ১০ দফায় বাড়িয়ে সাময়িক নিষেধাজ্ঞার শেষ দিন ছিলে ১১ ডিসেম্বর। কিন্তু অভিযান অব্যাহত থাকায় ১১তম দফায় সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে অনিদিষ্টকালের জন্য জারি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বলেন, যৌথ বাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযান পরিচালিত হওয়ায় নিরাপত্তা বিবেচনায় রুমা ও রোয়াংছড়ি দুটি উপজেলায় ভ্রমণে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে অনিদিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সবগুলো পর্যটন স্পটসহ উপজেলায় দেশী-বিদেশী সবধরনের পর্যটকদের ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। কিন্তু ইতোপূর্বে থানচি, আলীকদম উপজেলায় দেওয়া ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। রুমা ও রোয়াংছড়ি ছাড়া অন্যসব উপজেলায় ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।
এদিকে একের পর এক নিষেধাজ্ঞায় পর্যটনের ভরা মৌসুমেও পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে গোটা বান্দরবান। জেলায় পর্যটন সংশ্লিষ্ট সব ধরনের ব্যবসা বাণিজ্যে ধস নেমেছে। এদিকে নিষেধাজ্ঞার কারণে রোয়াংছড়ি উপজেলার দেবতাকুম, শীলবান্ধা ঝর্ণা, শিপ্পি পাহাড়, রুমা উপজেলার রহস্যময় বগা লেক, রাইক্ষ্যংপুকুর লেক, ক্যাওক্রাডং, তাজিংডং, জাদীপাই ঝর্ণা, তিনাপ সাইতার, রিজুক ঝর্ণাসহ আশপাশের দর্শণীয় স্থানগুলোতে ভ্রমণ করতে পারবেন না ভ্রমণকারী পর্যটকেরা।
জেএন/এমআর