জামা থেকে প্রসাধনী কি নেই, মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলায়?

হিমেল ধর : চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা এ বছর গৌরবের ৩৩তম বর্ষে উপনীত হয়েছে। বিগত ৩২ বছরের মতো চলতি বছরের ১লা ডিসেম্বর থেকে নগরের আউটার স্টেডিয়ামের মাঠে শুরু হয় মাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী এ মেলা।

- Advertisement -

মেলা উদযাপন পরিষদ ১৯৮৯ সালের পর গত ৩৩ বছর ধরে এই মেলার আয়োজন করে আসছে। এবারের মেলায় স্থান পায় নানারকম দেশীয় পণ্য।

- Advertisement -google news follower

সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সরেজমিন দেখা যায়, মেলায় পাট ও পাটজাত পণ্য ছাড়াও আছে থ্রি-পিস, জুতা, বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, নকশি কাথা, কাশ্মীরি শাল ও কার্পেটসহ আছে ঘর সাজানোর বিভিন্ন উপকরণ।স্টেডিয়াম, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় মেলা 2

এছাড়া শিশুদের খেলনা, প্লাস্টিক পণ্য, কসমেটিকস পণ্যসহ বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী, মাটির তৈজসপত্রসহ হরেক রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা।

- Advertisement -islamibank

আরও রয়েছে মুখরোচক খাবারের স্টল। বিক্রিও হচ্ছে বেশি। মেলার অন্যতম আকর্ষণ চাঁদপুর মৃৎশিল্পের স্টলে। চমৎকার সব মৃৎশিল্প ও শোপিস সামগ্রী সাজানো রয়েছে। মেলায় ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে।স্টেডিয়াম, মুক্তিযুদ্ধ, বিজয় মেলা 2

মা নাসিমা গার্মেন্টস নামে একটি স্টলের কর্মচারী মো. ফেরদৌস বলেন, থ্রি-পিসসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য রয়েছে তাদের স্টলে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা উপলক্ষে যেকোনও একটি পণ্য কিনলে একটি আকর্ষণীয় পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, সকালে লোকজনের ভিড় কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ে ক্রেতাদের ভিড়। বিকালের পর সবচেয়ে বেশি ভিড় জমে। গভীর রাত পর্যন্ত চলে এ বেচা-কেনা।

মেলায় সপরিবারে এসেছেন নাসিমা খাতুন। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, বিজয় মেলায় প্রবেশে টিকিট কিনতে হয় না। কম দামি থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের পণ্যের সমারোহ রয়েছে।

স্বাভাবিকভাবেই ভিড় বেশি, ছুটির দিন হলে ভিড় উপচে পড়ে। ভিড় এড়াতে চাইলে সকাল বেলা বা রাত ৯টার পর আসতে হবে।

প্রতিবছরের মতো ‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয় বীর বাঙালির অহংকার’ স্লোগানে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে কাজীর দেউড়ির আউটার স্টেডিয়ামে শুরু হয়েছে বিজয়মেলার পণ্যমেলা। আগামীকাল ১৩ ডিসেম্বর বিকেল তিনটায় এমএ আজিজ স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকের গোলচত্বরে বিজয় শিখা জ্বালানো হবে।

মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা পরিষদের মহাসচিব মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, ১৯৮৯ সালের পর বিগত ৩৩ বছর বিজয় মেলা হচ্ছে আন্দোলন সংগ্রামের সূতিকাগার চট্টগ্রামে। যা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।

দীর্ঘদিনের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শাণিত করতে এবারও বিজয় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে।

জেএন/হিমেল/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM