চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় সাত বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযােগে মো. ইউসুফকে (৪৭) গ্রেফতার করেছে র্যাব। ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ফেনী মডেল থানার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাবের দাবি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ইউসুফ ওই শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতার ইউসুফ সাতকানিয়া থানার গণিপাড়া গ্রামের মৃত সোনা মিয়ার ছেলে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৭ জানায়, ভিকটিম স্থানীয় মাদরাসায় প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। প্রতিদিনের মতো গত ৬ ডিসেম্বর দুপুরে মাদরাসা থেকে ফেরার সময় প্রতিবেশী ইউসুফ ওই শিশুকে স্কুল ব্যাগ বাসায় রেখে তার কাছে আসতে বলেন। ইউসুফের কথামতো শিশুটি বাসায় ব্যাগ রেখে তার কাছে আসে। তখন ইউসুফ আচার, চকলেট ও টাকাসহ বিভিন্ন জিনিস দেবে বলে বাড়ির পাশের শঙ্খ নদীর কাছে একটি ঝোপের ভেতর নিয়ে যায়। এসময় ভিকটিম চিৎকার করলে ইউসুফ তার মুখ চেপে ধরে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ইউসুফ শিশুকে আচার, চকলেট ও ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। এসময় শিশুকে এ ঘটনার কথা কাউকে বললে তাকেসহ পরিবারের সবাইকে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন ইউসুফ।
র্যাব আরও জানায়, পরে শিশুটি বাড়িতে এলে তার শরীরে প্রচণ্ড জ্বর ও অসুস্থতা দেখে তার মা হঠাৎ এমন অসুস্থ হওয়ার কারণ জনতে চান। তখন ভিকটিম তার মাকে ধর্ষণের কথা ও তার রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানায়। ওই সময় ভিকটিমকে তার মা দ্রুত দোহাজারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে ভিকটিমের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে ভিকটিম সেখানে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় ৭ ডিসেম্বর ইউসুফকে আসামিকে করে সাতকানিয়া থানায় মামলা করে ভিকটিমের পরিবার। মামলার পর থেকে আসামি ইউসুফ গাঢাকা দেন। পরে র্যাব গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে ফেনী মডেল থানার রামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
জেএন/এফও/এমআর