ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য বিহারের সরন জেলার চাপরায় বিষাক্ত মদপানে মৃত্যুর সংখ্যা আরো বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ৬৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দেশটির কর্মকর্তারা আশঙ্কা করছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
শুক্রবার দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআই এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যটির দুই গ্রামে বিষাক্ত মদপানে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। যদিও ২০১৬ সালের পর থেকে এই অঞ্চলে মদ বিক্রি ও পান নিষিদ্ধ। তবে এরপরও মদ বিক্রি ও পান চলছে বলে অভিযোগ।
জানা যায়, বিহারের রাজধানী পাটনার সরন জেলায় গত মঙ্গলবার মদপানের পর ভুক্তভোগীরা বমি করতে শুরু করেন। এরপরই অবস্থা বেগতিক হয়েছে তাদের।
দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অনেকে হাসপাতালে যাওয়া পথে মারা যান এবং অন্যরা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এর আগে বিহারে ২০১৬ সালে বিষাক্ত মদ পানে ১৬ জনের মৃত্যু হয়। পরে রাজ্যটিতে মদের উৎপাদন ও বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। নিষেধাজ্ঞার পরও ওই গ্রামের বাসিন্দারা মদ কীভাবে পান করলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দল বিজেপি।
এ নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ও সংযুক্ত জনতা দলের প্রধান নীতিশ কুমার জানান, অবৈধ মদ পানে প্রাণ হারানো লোকজনের পরিবার সরকারি সহায়তা পাবে না।
তিনি অভিযোগ করেন, যেসব রাজ্যে বিরোধী দলগুলো ক্ষমতায়, সেখানে এমন ঘটনা ঘটলেই বড় করে দেখায় সংবাদমাধ্যমগুলো। এর দায় বিজেপির।
বিষাক্ত মদ পানে মৃত্যুর ঘটনায় বিহার সরকার ও রাজ্য পুলিশের প্রধানকে নোটিশ পাঠিয়েছে ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
জেএন/পিআর