বছরের শুরুর প্রথম দিন ক্লাসের নতুন বইয়ের মজাই আলাদা। এই দিনটার জন্য অপেক্ষা করছেন স্কুল-মাদরাসার লাখ লাখ শিক্ষার্থী। নতুন বছরে নতুন শ্রেণিতে ওঠা শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে চট্টগ্রামের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছে এনসিটিবির বই।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর-চট্টগ্রাম সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৮১ জন। এসব শিক্ষার্থীর জন্য বই প্রয়োজন ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিসার মো. ফরিদুল আলম হোসাইনী বলেন, ১ কোটি ৫৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯০৩টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামে। এক মাস আগেই জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই পৌঁছানো শুরু হয়েছে। ২০২৩ সালের ১ জানুয়ারি সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বই বিতরণ করা হবে।
তিনি আরও বলেন, জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বইগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানদের বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সরকারি-বেসরকারি, প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা বছরের প্রথম দিন বই পাবে।
ডা. খাস্তগীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শাহেদা আখতার বলেন, তৃতীয় থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত সব শিক্ষার্থীকে নতুন বই দেওয়া হবে। বই আসা শুরু হয়েছে। আমাদের স্কুলের একটি কক্ষে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কিছু বই এসেছে। বইগুলো এখানে আপাতত রাখা হয়েছে।
এ দিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামে ৪ হাজার ৩৫৩টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিকে অধ্যয়নরত ১০ লাখ ৮২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইবতেদায়ী ও উচ্চ বিদ্যালয়সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় দুই হাজার ২৮৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ১২ লাখ ১০ হাজার। মাধ্যমিক বিদ্যালয়, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ইবতেদায়ী ও দাখিল মিলিয়ে এ বছর মোট বইয়ের চাহিদা রয়েছে প্রায় এক কোটি ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৭০৫ কপি।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সাল থেকে দেশে বই উৎসবের মাধ্যমে বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যবই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ শুরু হয়। নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হতে মাত্র ১০ দিন বাকি। জাতীয় শিক্ষা শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্র জানিয়েছে, কার্যাদেশ দিতে দেরি হওয়ায় সময়মতো বই ছাপিয়ে নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য বিতরণ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
এবার প্রাথমিকের প্রথম শ্রেণি এবং মাধ্যমিক স্তরের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে পাঠ্যবই ও শিক্ষক গাইড দেওয়া হবে। অন্যান্য শ্রেণিগুলোর জন্য পুরোনো শিক্ষাক্রমের আলোকে বই ছাপানো হচ্ছে।
জেএন/হিমেল/এমআর