কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালের পর কেটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। হারের ঘোর কাটেনি এখনও। ফাইনালে হারের পর থেকেই অশান্ত ফ্রান্স। রাস্তায় রাস্তায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন সমর্থকরা।
তাদের সামলাতে লাঠি চালায় পুলিশ। কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার অভিযোগও উঠেছে। বিশ্বকাপে হার মেনে নিতে না পেরে এক রাতে উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা দেশ।
আর্জেন্টিনার সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে পরাজিত হয়েছিলো ফরাসিরা। ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়েও জিততে পারেননি তারা। এই হার মানতেই পারছেন না সমর্থকরা।
এর মধ্যে প্রকাশ্যে এল মর্মান্তিক খবর। বড়দিনের ঠিক দু’দিন আগে অর্থাৎ গত শুক্রবার গুলি করে হত্যা করা হল আদেল সান্তানা মেন্ডি (২২) নামে এক ফুটবলারকে।
ফ্রান্সের মার্সেই শহরের একটি এলাকায় ওই ফুটবলারকে গুলি করা হয়েছে। খবর দ্যা সানের।
গত জুনেই ফ্রান্সের ঘরোয়া লিগের চতুর্থ ডিভিশনের ক্লাব ওবানিয়াতে যোগ দিয়েছিলেন আদেল। এর মধ্যেই তাকে খুন করা হল। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, সেটা এখনও জানায়নি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত শুরু করেছে। আদেলের ক্লাব ওবানিয়া সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে লিখেছে, বিরাট একটা শূন্যস্থান তৈরি হল। আদেল বরাবর আমাদের একজনই থাকবে। ওর পরিবারকে সমবেদনা।
মার্সেইয়ের যুব অ্যাকাডেমি থেকে উঠে এসেছিলেন আদেল। তার পরে ইংল্যান্ডের ক্লাব ইস্টবোর্ন এবং ল্যাংনেতে খেলেছেন।
এ ছাড়া অ্যান্ডোরার বেশ কিছু ক্লাবে খেলেছেন তিনি। আদেলের খুন হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই বিভিন্ন মহল থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে।
জন্ম ফ্রান্সে হলেও আদেলের বাবা-মা সেনেগালের। ফ্রান্সের ছোটখাটো ফুটবল ক্লাবেই এত দিন খেলতেন তিনি। স্বপ্ন ছিল বড় ক্লাবে খেলার।
এর আগে শুক্রবার অশান্ত হয় প্যারিস। মধ্য প্যারিসের গার দ্য লে স্টেশন লাগোয়া কুর্দিস সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কাছে একটি রেস্তরাঁ এবং সাঁলোতে ৬৯ বছরের এক বৃদ্ধের গুলিতে তিন জনের মৃত্যু হয়। আহত হন আরও অনেকে। তার পরেই অবশ্য আততায়ী ৬৯ বছরের বৃদ্ধকে ধরে ফেলে পুলিশ।
শ্বেতাঙ্গ ওই বৃদ্ধ একজন অবসরপ্রাপ্ত ট্রেন চালক। তিনি বর্ণবিদ্বেষী এবং ফ্রান্সে ‘বিদেশি’দের উপস্থিতি তার সহ্য হতো না বলে পুলিশের কাছে বয়ানও দিয়েছেন।
জেএন/পিআর