বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর প্রায় ত্রিশ মাস পরে এসে তাকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি করছেন কুপার হাসপাতালের মর্গের এক কর্মী। মৃত্যুর পর ওই হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল অভিনেতার।
২০২০ সালের ১৪ জুন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার নিজ আবাসন থেকে অভিনেতার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে সময়, প্রাথমিক তদন্তে তিনি আত্মহত্যাই করেছেন বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ। যদিও তখন তার পরিবার দাবি করেন, আত্মহত্যা নয় খুন করা হয়েছিল অভিনেতাকে।
রূপকুমার শাহ নামে মর্গের ওই কর্মীর দাবি, সুশান্তের দেহে এবং গলায় একাধিক ক্ষতের দাগ ছিল। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে সে কথা তিনি জানিয়েছিলেন বলে দাবি শাহের। তখন কর্তৃপক্ষ তাকে ‘নীতি’ মেনে কাজের নির্দেশ দেন।
একটি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ বলেন, সুশান্ত সিংহ রাজপুত যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন আমাদের কুপার হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মোট পাঁচটি দেহ এসেছিল। পাঁচটির মধ্যে একটি দেহ ছিল ভিআইপির।
ময়নাতদন্তের কাজের সময় জানতে পারি তিনি সুশান্ত সিংহ রাজপুত। তার শরীরে একাধিক এবং গলায় দুই থেকে তিনটি দাগ ছিল। ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ড করার দরকার ছিল। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ শুধুমাত্র দেহের ছবি তুলতে বলেন। তাদের নির্দেশ মেনেই কাজটা করেছিলাম।
শাহ বলেন, যখন সুশান্তের দেহ প্রথম বার দেখি, তখনই সিনিয়রদের বলি যে, আমার মনে হয় এটা আত্মহত্যার ঘটনা নয়। খুন হয়েছেন তিনি। আমি এ-ও বলি যে, নিয়ম মেনেই আমাদের কাজ করা উচিত।
যদিও সিনিয়রেরা আমায় যত দ্রুত সম্ভব দেহের ছবি তুলে পুলিশের হাতে দেহ দিয়ে দিতে বলেন। রাতেই আমরা সুশান্তের দেহের ময়নাতদন্ত করেছিলাম।
জেএন/পিআর