প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১৫ বছর বয়সী এক স্কুল ছাত্রীকে গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করে মো. শাকিল মিয়া নামের এক যুবক।
অপহরণের পর ওই ছাত্রীকে নিয়ে চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকায় আত্মগোপন করে অপহরণকারী শাকিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি।
ভিকটিমের পিতা-মাতার দায়ের করা অভিযোগ তদন্তে নেমে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অবস্থান শনাক্তের পর সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকা থেকে অপহরণকারীকে গ্রেফতার ও অপহৃত শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় র্যাব-৭।
মঙ্গলবার বিকেলে গণমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার।
তিনি বলেন, ভুক্তভোগী গাইবান্ধার পলাশবাড়ি এলাকার বাসিন্দা। স্কুলে যাওয়ার পথে অভিযুক্ত শাকিল ওই ছাত্রীকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত করতো। প্রায় সময় আপত্তিজনক কথাবার্তা ও প্রেমের প্রস্তাব দিত। ওই ছাত্রী উত্যক্তের বিষয়টি পরিবারকে জানায়।
পরে শাকিলের বাবাকে ওই ছাত্রীর বিরক্ত করার কথা জানানো হয়। বিষয়টি জানা জানির পর শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। গেল ২৮ মে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে ভুক্তভোগীকে সিএনজি অটোরিকশা করে তুলে নিয়ে যায়।
পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামি করে পলাশবাড়ি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সোমবার বিকেল সোয়া ৩টায় পতেঙ্গার কর্ণফুলী ইপিজেড এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের মূলহোতা মো. শাকিল মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাকিল অপহরণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/পিআর