বয়স জালিয়াতিসহ নানা অভিযোগে অভিযুক্ত চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপতালের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রক্ষরিক তাকবীর হোসেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর তা তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরমধ্যে তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে বদলী করা হয়েছে পিরোজপুরের মঠ বাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
গত ২০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে তাকে বদলী করা হয়। তবে আজ মঙ্গলবারও তাকে চমেক হাসপাতালে অফিস করতে দেখা যায়। যদিও ওই বদলী আদেশে বলা হয়েছে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ছাড়পত্র গ্রহণ করে বদলীকৃত কর্মস্থলে দেওয়ার জন্য। অন্যথায় ষষ্ঠদিন থেকে সরসাসরি অব্যহতি পেয়েছেন বলে গণ্য হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে ছাড়পত্র দেওয়ার পরিবর্তে উল্টো একই স্থানে রেখে দিতে তদবীর করছে। এই নিয়ে মন্ত্রণালয়ে চলছে দৌড়ঝাপ।
অভিযোগ রয়েছে, বড় ভাইয়ের তৈরি করা জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তাকবীর হোসেন এই চাকরি বাগিয়ে নেন। তৃতীয় শ্রেণির চাকরি পেয়েই নানা তদবিরের মাধ্যমে তিনি ব্লাড ব্যাংকে যোগ দেন। এর পরই চমেক হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে বেসরকারি ব্লাড ব্যাংকে রক্ত পাচারের অভিযোগ উঠতে থাকে। জানাজানি হয়ে যায় তার বয়স জারিয়াতির ঘটনা।
এ নিয়ে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক তাকবীর হোসেনের বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগসহ ব্লাড ব্যাংকের রক্ত পাচারের বিষয়টি তদন্দ করে চমেক হাসপাতালের পরিচালককে প্রতিবেদন দেয়।
তবে এ অভিযোগ প্রসঙ্গে তাকবীর হোসেন বলেন, ‘ব্লাড ব্যাংকে টানা কাজ করছি না তো। মাঝখানে পরিচালকের অফিসে বদলি করা হয়েছিল আমাকে। সেখানে ৬ মাস কাজ করার পর আবার ব্লাড ব্যাংকে এসেছি। চাকরিতে বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে যোগদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা তো কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। তারাই আমাকে চাকরি দিয়েছে। এ ব্যাপারে দুদকে তদন্ত চলমান। বিস্তারিত আমি জানি না।’
চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. অং সাই প্রু মারমা বলেন, আমরা ব্লাড ব্যাংকের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি। শিগগিরই চিরুনি অভিযান শুরু হবে। এ ব্যাপারে কাউকেই কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।
এই বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল করেও চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান এর কোনো বক্তব্য মেলেনি।
জেএন/এফও/এমআর