গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গেজেট বাতিলের এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) নেই উল্লেখ করে রায় ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ নেওয়া ২২ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন আদালত।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। আদালতে রিটকারিদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার তৌফিক ইনাম।
রায়ের পরে তৌফিক ইনাম বলেন, যে সব বীর মুক্তিযোদ্ধারা গেজেটভুক্ত হয়েছেন তাদের সনদ বাতিল করার এখতিয়ার জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল জামুকার নেই বলে রায় দিয়েছেন আদালত। এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে এ রায় দিয়েছেন আদালত। লিখিত রায়ে আরও বিস্তারিত হয়তো থাকবে।
এর আগে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে রিট আবেদনকারী ২২ জনসহ ৪৭৯ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ভারত থেকে নৌ-কমান্ডো প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর সাত সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কমিটি ২০০১ সালে তাদের তালিকা চূড়ান্ত করেছিল। পরে ২০০৪ সালের ১৫ জুন এবং ২০০৫ সালের ১৭ এপ্রিল দুই দফায় ৪৭৯ জন নৌ-কমান্ডোর নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করা হয়। এর পর থেকে তারা মুক্তিযোদ্ধা সন্মানী ভাতা পাচ্ছেন।
তবে ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল জামুকার ৩৫তম সভায় রিট আবেদনকারীসহ ২৪ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আবু হান্নান সরকারসহ ২২ জন ওই বছরের ৮ মে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন।
পরে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার ২২ নৌ-কমান্ডোর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে ২০১৬ সালে আদেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এই ২২ নৌ-কমান্ডোর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি সংক্রান্ত গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে রুল জারি করেন আদালত। দীর্ঘদিন পর ওই রুলের শুনানি শেষে রায় ঘোষণা করলেন আদালত।
জেএন/এমআর