বিএনপির ঐক্যের ভবিষ্যৎ শুভ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ভাতৃপ্রতীম ও সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সময় আরও এক বছর। সময় গড়িয়ে যাবে। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র অনেক পানি বয়ে যাবে। অনেক পরিবর্তন হবে। গতবারও তো বিএনপি ২১দল নিয়ে বললো ইলেকশন করবে না। শেষ পর্যন্ত ইলেকশনে এসেছে। এখন কিছু কিছু দল আছে, জিরো প্লাস, জিরো প্লাস জিরো। এখন তারা থাকলেও কী, না থাকলেও কী? আমি কাউকে উপহাস করছি না। ডেমোক্রেসিতে অনেক দল আছে সাইনবোর্ডে, অনেকে লেটারহেডে আছেন। এই ঐক্যের ভবিষ্যৎ কী? সেটা আমাদের অভিজ্ঞতা শুভকর হবে না বলে মনে করে।
তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- জনসমাগম করার জন্য তাদের নেতৃত্ব প্রয়োজন। কে নেতৃত্ব দেবে এই আন্দোলনকে? কে নেতৃত্ব দেবে আগামী নির্বাচনে? সেই লোকটি কে? তারা তো নির্বাচনের যোগ্য না। যে দুইজনের কথা বলবেন। একজন লন্ডনে, আরেকজন জেলে। জেলে মানে শেখ হাসিনার উদারতায় বাসায় আসছেন। কিন্তু সি ইজ কনভিক্টেড।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তিনি (তারেক রহমান) ১০ তারিখে আসবেন, শুনলাম ৩০ তারিখে আসবেন। আসলে দেশে ফিরে আসার সৎ সাহস তার আছে বলে বাংলাদেশের মানুষ এখন আর বিশ্বাস করে না।
আগামী ১১ জানুয়ারি সারাদেশে গণঅবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বিএনপি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখন ভবিষ্যতে কী হবে জানি না, তবে আমরা সতর্ক পাহারায় থাকবো। আমরা কাউকে আক্রমণ করবো না। আক্রমণ করা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জবাব দেবো। তখন প্রশাসন জবাব দেবে নাকি পার্টি দেবে, সেটা সময় বলে দেবে।
তিনি বলেন, আপনি আমাকে বারবার মারবেন, আমি চুপ করে থাকবো? দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ললিপপ খাবো। এটা কী হয়? এটা হয় না। আমরা সারাদেশেই আগে যেমন ছিলাম তেমনি সতর্ক অবস্থায় থাকবো।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, দেশের বিচার ব্যবস্থা কি পরাধীন? দেশের বিচার ব্যবস্থা কি সরকারের অধীন? সরকারের কত লোক আজ কারাগারে। সরকারের কত লোক দুদকের মামলায় হাজিরা দিচ্ছেন। তারপর দুদকের মামলায় অনেকেই কারাগারে আছেন। অনেকে কনভিক্টেড হয়ে গেছেন। আমাদের এখানে তো বিএনপিরও অনেকে জামিন পাচ্ছেন।
যৌথসভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ইউসূফ হাসান হুমায়ুন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও ড. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আফজাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, আইনবিষয়ক সম্পাদক নাজিবুল্লাহ হিরু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, কৃষক লীগ সভাপতি সমীর চন্দ, সাধারণ উম্মে কুলসুম স্মৃতি, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আলেয়া সারোয়ার ডেইজি উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর