দেশে বর্তমানে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। মোট ভোটার বেড়েছে ৫ দশমিক ১০ শতাংশ অর্থাৎ ৫৭ লাখ ৭৪ হাজার ১৪৮ জন।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রবিবার প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ খসড়া ভোটার তালিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
খসড়া তালিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হালনাগাদের পূর্বে দেশে ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন। হালনাগাদ কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ৭৯ লাখ ৮৩ হাজার ২৭৭ জন।
ইসি সচিব বলেন, হালনাগাদে মৃত ভোটার কর্তন হয়েছে ২২ লাখ ৯ হাজার ১২৯ জন। মৃত ভোটার কর্তনের পর দেশে বর্তমানে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯০ লাখ ৬১ হাজার ১৫৮ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১১২ জন। নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৬ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ জন। এছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ৮৩৭ জন।
গত বছরের ২০ মে থেকে গত ২০ নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ ও নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করে ইসি। এবারও গতবারের মতো তিন বছরের তথ্য একসঙ্গে নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি বা তার আগে যারা জন্মগ্রহণ করেছেন তাদের তথ্য সংগ্রহ করেছে ইসি।
নিবন্ধন সম্পন্নকারীদের মধ্যে যাদের বয়স যখন ১৮ বছর হবে, তখন তারা স্বয়ংক্রিভাবে ভোটার তালিকায় যুক্ত হবেন।
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী, হালনাগাদের খসড়া তালিকা বিভিন্ন জনবহুল স্থানে প্রকাশ্যে টানিয়ে দেওয়া হবে। কারো কোনো ভুল থাকলে আবেদন সংশোধনের সুযোগ পাবেন। এক্ষেত্রে দাবি, আপত্তি বা সংশোধনের আবেদন করার শেষ সময় ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ এজন্য ১৬ দিন সময় পাওয়া যাবে। সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ সেই আবেদন নিষ্পত্তি করবে ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে। আবেদন নিষ্পত্তির পর হালনাগাদকৃত চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ২ মার্চ।
দাবি, আপত্তি ও সংশোধন সংক্রান্ত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রতিটি উপজেলা বা থানার ভোটার এলাকার জন্য সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ নিয়োগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, অতিরিক্ত জেলা নির্বাচন অফিসারকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সিটি কর্পোরেশন ও ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকার জন্য আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা নির্বাচন অফিসাররাও নিয়োগ পেয়েছেন।
এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ক্যান্টনমেন্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার এবং কিছু বিশেষ এলাকার জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককেও (শিক্ষা) সংশোধনকারী কর্তৃপক্ষ (রিভাইজিং অথরিটি) হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
২০০৭-২০০৮ সাল থেকে দেশে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা প্রণয়ন শুরু হয়। ইসির দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, তথ্যভাণ্ডারে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৮৭ হাজার ১০ জন ভোটার রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচ কোটি ৭৬ লাখ ৮৯ হাজার ৫২৯ জন পুরুষ, পাঁচ কোটি ৫৫ লাখ ৯৭ হাজার ২৭ জন নারী এবং ৪৫৪ জন হিজড়া ভোটার রয়েছে।
প্রথম থেকে এনআইডি হারানো ও সংশোধন সংক্রান্ত সেবা বিনামূল্যে দিলেও ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ফি নেওয়া শুরু করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
জেএন/এমআর