অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ যাতে নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের নেতা খুঁজে নিতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। গণতান্ত্রিক ধারা বজায় থাকলে দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবে, আমরা সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে চাই।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে যুক্তফ্রন্ট নেতাদের সঙ্গে সংলাপের শুরুতে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোটের সঙ্গে বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সংলাপ শুরু হয়। সংলাপে বি. চৌধুরীর নেতৃত্বে যুক্তফ্রন্টের ২১ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নিয়েছে।
অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও বাধা অতিক্রম করে আমরা গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখছি মন্তব্য করে শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব না। এ ধারা অব্যাহত থাকুক এবং উন্নয়নের গতি সচল থাকুক।
সংলাপে বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে আছেন বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব.) আব্দুল মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য শমসের মবিন চৌধুরী, গোলাম সারোয়ার মিলন, আবদুর রউফ মান্নান, ইঞ্জিনিয়ার মুহম্মদ ইউসুফ, সহ-সভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, মাহবুব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার ওমর ফারুক, নির্বাহী সদস্য সাবেক এমপি মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম গোলাম রেজা, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পাটির (বিএলডিপি) সভাপতি নাজিম উদ্দিন আল আজাদ, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, ন্যাপের সভাপতি জেবেল রহমান গানি, মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, জাতীয় জনতা পার্টির সভাপতি শেখ আসাদুজ্জামান, বাংলাদেশ জনদলের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান জয় চৌধুরী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ইউনাইটেড মাইনরিটি ফ্রন্টের চেয়ারম্যান দীলিপ কুমার দাস, লেবার পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হামদুল্লাহ আল মেহেদী, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান (এনডিপি) খোন্দকার গোলাম মোর্ত্তুজা ও এনডিপির মহাসচিব মনজুর হোসেইন ঈসা।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের নেতারাই যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপে উপস্থিত আছেন।
জয়নিউজ/জুলফিকার