পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্যকে তুলে ধরার লক্ষ্যে শনিবার (২১ জানুয়ারী) বিকাল সাড়ে ৩ হতে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা ওয়াগ্গাছড়া রিভারভিউ পার্ক এন্ড পিকনিক স্পটের ম্যাডিসন স্কোয়ার মঞ্চে সাংস্কৃতিক উৎসব” এর তৃতীয় পর্বে অনুষ্ঠিত হলো নারানগিরি মৌজার নান্দনিক পরিবেশনা।
কাপ্তাই ব্যাটালিয়ন (৪১ বিজিবি) এই সাংস্কৃতিক উৎসব এর আয়োজন করেন।
এই দিনে নারানগিরি মৌজায় বসবাসরত মারমা সম্প্রদায়ের শিল্পীরা তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে সজ্জিত হয়ে মারমা সম্প্রদায়ের জীবনধারা, সাংঁগ্রাই উৎসবের নাচ ও গান, মারমা ভাষার দেশের গান এবং তাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশন করেন। এসময় তুমুল করতালিতে পার্কে আগত দর্শকরা এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ, এএসসি প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
এসময় সীমান্ত পরিবার কল্যান সংস্থা (সীপকস) কাপ্তাই উপ শাখার সাধারণ সম্পাদিকা মৌটুসী খন্দকার, ভায্যতলী মৌজার হেডম্যান থোয়াই অং মারমা, নারানগিরি মৌজার হেডম্যান উবাথোয়াই চৌধুরী, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, কাপ্তাইয়ের সাধারণ সম্পাদক ঝুলন দত্ত, ২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর ১ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ সেলিম সহ বিভিন্ন মৌজার হেডম্যান, কার্বারী, মহিলা ও পুরুষ এবং বিজিবির পদস্থ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে এই নান্দনিক পরিবেশনা উপভোগ করেন।
বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সাব্বির আহমেদ এএসসি জানান, ব্যাটালিয়ন এর অধীন ৬ টি মৌজায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠীর সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য এবং তাদের শিল্পীদের সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার জন্য আমাদের আজকের এই আয়োজন। সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও শনিবার এই পার্কে সাংস্কৃতিক উৎসব চলবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গতঃ কাপ্তাই বিজিবির আয়োজনে এই সাংস্কৃতিক উৎসব গত ১৩ জানুয়ারি উদ্বোধন করা হয়। এদিন ওয়াগ্গা মৌজার তঞ্চঙ্গ্যা শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা করেন। এছাড়া গত ২০ জানুয়ারি রাইখালী মৌজার শিল্পীরা তাদের পরিবেশনা পরিবেশন করেন। এছাড়া আগামী ৩ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত সাপ্তাহিক বন্ধের দিনে এই সাংস্কৃতিক উৎসব চলবে।
জেএন/ঝুলন/এফও/এমআর