রাবার কাঠের সাহায্যে বিএফআইডিসি’র আওতাধীন দেশের সর্ববৃহৎ করাতকল কাপ্তাই লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্সের উৎপাদিত পণ্য জনপ্রিয় ও যুগোপযোগী করা হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফআইডিসি) এর চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব সীমা সাহা কাপ্তাই লাম্বার প্রসেসিং কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে একথা বলেন।
এলপিসি’র করাতকল, সিজনিং প্ল্যান্ট, বয়লার, প্ল্যানিং মিল পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, অনেক পুরানো মিল হওয়া সত্ত্বেও এর যন্ত্রপাতি এখনো সচল রয়েছে। লোকবল সংকট থাকার পরও গতবছর এ প্রতিষ্ঠান অনেক রাজস্ব আয় করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রাবার কাঠ অত্যন্ত মজবুত ও টেকসই। এ কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করে তা সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য।
বর্তমান সরকার দেশের সকল শিল্প-কারখানাকে উন্নত করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি কাপ্তাই এলপিসি কর্তৃপক্ষের কাজের ভূয়সি প্রশংসা করেন। এরপর কাপ্তাই ইউনিট প্রধানের সাথে ২০১৮ -২০১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সচিব মো. মোকসেদুর রহমান, চট্টগ্রাম রাবার বিভাগের মহা-ব্যবস্থাপক উত্তম কুমার বসু, কাপ্তাই এলপিসি ইউনিট প্রধান তীর্থজিৎ রায়,কালুরঘাট ইউনিটের ডিজিএম মো. শফিকুল ইসলাম, সহ-মহাব্যবস্থাপক হযরত আলী ভূঁইয়া, কাপ্তাই হিসাব বিভাগ প্রধান মো. শাহজাহানসহ শ্রমিক প্রতিনিধিরা।
উল্লেখ্য, বিগত জোট সরকারের আমলে পে-অফের মাধ্যমে বিএফআইডিসি’র লাভজনক কাপ্তাই শাখার একাধিক ইউনিট বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে শুধুমাত্র এলপিসি ইউনিটটি সচল রয়েছে।
জয়নিউজ/লাভলু/আরসি