পরাজয় দিয়ে বিপিএল শুরু করা কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স এখন যেন হারতেই ভুলে গেছে। একটানা ম্যাচ জিতে যাচ্ছে তারা। আজ শনিবার খুলনা টাইর্গাসকে ৪ রানে হারিয়েছে ইমরুল কায়েসের দল। এটা কুমিল্লার টানা পঞ্চম জয়। শেষ বলের লড়াইয়ে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে পেরে ওঠেননি খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রান তাড়ায় নেমে ১৪ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছিল খুলনা টাইগার্স। তামিম ইকবালকে ১১ রানে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন নাসিম শাহ। অপর ওপেনার অ্যান্ডি বালব্রিনি ৩৮ রান করেছেন। তিনে নেমে শাই হোপ করেন ৩২ বলে ৩৩ রান। ম্যাচের পরিস্থিতি তখনো কুমিল্লার দিকেই ঝুঁকে ছিল।
কিন্তু মাহমুদুল হাসান জয়ের ১৩ বলে ২ চার ২ ছক্কায় ২৬ রানের ঝড় সব এলোমেলো করে দেয়। তাকে ফিরিয়ে ফের ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন মোসাদ্দেক। শেষদিকে খুলনা অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি চেষ্টা করেছেন। শেষ বলে দরকার ছিল ৬ রানের। মোসাদ্দেকের বলে এক রানের বেশি নিতে পারেননি ইয়াসির। তিনি অপরাজিত থাকেন ১৯ বলে ৩ চার ১ ছক্কায় ৩০* রানে। ৪ রানে ম্যাচ জিতে নেয় কুমিল্লা।
এর আগে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করে র্নিধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৫ রান তুলেন লিটন দাস ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। এর মধ্যে ৫০-ই লিটনের। লিটনের বিদায়ের পর ৬০ রানের জুটি গড়েন রিজওয়ান ও জনসন চার্লস।
২২ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন চার্লস। তাঁর ইনিংসে কোনো চার ছিল না, ছিল ৫টি ছক্কা। এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি কুমিল্লা।শেষ ২৫ বলে ৩৯ রান তুলে ১৬৫ রানের স্কোর গড়ে কুমিল্লা। ২০ ওভার ব্যাট করে একটি ছক্কা ও চারটি চারে ৪৭ বলে ৫৪ রানে অপরাজিত থাকেন রিজওয়ান। ১১ বলে অপরাজিত ১৩ রান করেন খুশদিল শাহ। খুলনার পক্ষে ওয়াহাব রিয়াজ ও নাহিদুল ইসলাম একটি করে উইকেট লাভ করেন।
জেএন/এমআর